যশোর: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া কিংবা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা রাজনীতির নামে ধর্মকে ব্যবহার করছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) যশোরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অংশীজনদের সমন্বয়ে ‘সমাজের নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির নির্বচনী অগ্রাধিকার’ বিষয়ক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম, কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
বেগম সেলিমা রহমান আরো বলেন, বিএনপি নারীবান্ধব রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপি দেশের নারী সমাজের অধিকারের জন্য কাজ করে আসছে। যে কারণে দেশের নারী সমাজ বিএনপির প্রতি আস্থাশীল।
তিনি বলেন, বিগত সময়ে যখন অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে দেশের নারী সমাজ তার প্রতিদান দিয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের নারী সমাজের জন্য কী করেছেন, তা সকলের জানা। তাদের যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমানও দেশের নারী সমাজের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় কাজ করতে চান। যেটি তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূখরেখায় তুলে ধরেছেন। এই রূপরেখা প্রান্তিক পর্যায়ে নারী সমাজের মাঝে তুলে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের নারী পুরুষের একটিই পরিচয়-আমরা বাংলাদেশি। এই দেশ এবং দেশের স্বাধীনতা , সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের নারী সমাজ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছে। পুরুষের সাথে নারী সমাজ লড়াই করেছিল বলে আজো বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকে আছে।
সেলিমা রহমান আরো বলেন, আমরা নারীরা লড়াই করে আমাদের অধিকার আদায় করে যাবো। বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শাসনকালে দেশের অসংখ্য নারী নিজের স্বামী ও সন্তানকে হারিয়েছেন। অজস্র নারীর স্বামী সন্তানকে দিনের পর দিন মিথ্যা মামলায় দিয়ে কারান্তরীণ করা হয়েছিল। পুরুষের পাশাপাশি দেশের নারী সমাজও সংগ্রামী। দেশের সংগ্রামী নারী সমাজ নির্বাচন বাঞ্চলের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য ভূমিকা রাখবে।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী। আলোচনা সভায় যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ এবং মাগুরা জেলার সাবেক এবং বর্তমান নারী জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসএইচ