সিলেট: সিলেটে হত্যা মামলার ছয় আসামিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯।
বুধবার (১৪ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জেলা সদরের বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন টিলাপাড়া গ্রামের বদরুল মিয়া (২৮), আফরেতা বিবি (৬৫), রোকসানা বেগম (৩৬), শেলী বেগম (২৮), আয়শা বেগম (৩২), ও বেগম বিবি (৪২)।
র্যাব-৯’র মিডিয়া উইং কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে সিলেট এয়ারপোর্ট থানাধীন খাদিমনগর ইউনিয়নের লুসাইন এলাকায় বাল্যবিয়ে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে মুজিবুর রহমানকে তার বসতবাড়িতে মারধরের ঘটনা ঘটে।
পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে র্যাব-৯-। অবশেষে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এ মামলার এই ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
গত ১৬ এপ্রিল বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের লুসাইন গ্রামে ঝগড়াকালে ছোট ভাইয়ের ধাক্কা ও কিল-ঘুষিতে মুজিবুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। নিহত মো. মুজিবুর রহমান (৫৫) এই গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের লুসাইন গ্রামের মুজিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মুহিবুর রহমানের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এদিন দুপুরে আত্মীয় স্বজন তাদের নিয়ে ঘরোয়াভাবে বৈঠকে বসেন।
এক পর্যায়ে তারা উভয়ে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এ সময় মুহিবুর রহমান তার বড় ভাই মুজিবুরকে বুকে ধাক্কা ও কিলঘুষি মারলে তিনি মাটিতে লুটে পড়েন এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এনইউ/জেএইচ