যশোর: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কার কিংবা সংবিধানের কোনো কিছু সংযোজন-বিয়োজন করার ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে দ্রুত নির্বাচনের জন্য বিএনপি বলে আসছে।
বুধবার (৯ জুলাই) যশোর নগর মহিলা দলের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দল আয়োজিত পৃথক নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিষ্কণ্টক রাখা, জনগণের সব গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
সে কারণেই বিএনপি জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি তুলছে। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে একটি মহল দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। যাতে পলাতক দেশবিরোধী অপশক্তি আবার ফিরতে পারে।
তারা সুযোগ পেলে দেশকে আবারও অন্ধকারে নিয়ে যাবে। কিন্তু, আমরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের আর কোনোদিন এই দেশে পা রাখতে দেব না।
সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সীমাহীন নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে বিএনপির প্রতিটা নেতাকর্মী রাজপথ আঁকড়ে ছিল। তারা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত আন্দোলন করেছে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেই আন্দোলন করতে গিয়ে যশোরে বিএনপির ৮৪ জন নেতাকর্মী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসরদের হাতে নির্মমভাবে জীবন দিয়েছেন। বিএনপির আন্দোলনে নারীরা পুরুষের শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল। তাই নতুন বাংলাদেশ গঠনে বিএনপি নারীদের সম্পৃক্ত করতে চায়।
পৃথক দুটি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌসী বেগম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, বিএনপি নেতা মারুফুজ্জামান কাঞ্চন এবং আব্দুর রাজ্জাক।
সরকারি এম এম কলেজ মাঠে ৫ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রভাষক সানজিদা ইসলাম এবং পরিচালনা করেন নগর মহিলা দলের সভাপতি শামসুন্নাহার পান্না।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের আয়োজনে রায়পাড়ার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শাহরিয়া আক্তার এবং পরিচালনা করেন জেলা মহিলা দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারা পারভীন আনু।
এসআরএস