বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন মোশাররফ। শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মোশাররফ বরগুনা জেলা সদরের আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
জানা যায়, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম ২০২৩ সালের ১৭ মার্চের ঘটনা দেখিয়ে ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় ১৫৮ জন নাম উল্লেখ ও আওয়ামী লীগের অজ্ঞাতনামা আরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় প্রধান আসামি দেখানো হয়েছে বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো, জাহাঙ্গীর কবীর ও সদ্য বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু। মো. মোশাররফ হোসেন ২ জুন হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ কোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নুরুল আমীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান ফরহাদ বলেন, মোশাররফ হোসেন বহু বছর আগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে হয়রানি করার জন্য প্রায় তিন বছর আগের একটি কাল্পনিক ঘটনা দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে। যিনি বাদী হয়েছেন তিনি বিএনপির কোনো নেতা নন।
এসআরএস