ফরিদপুর: টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ করে ফরিদপুরে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে জেলা শহরের চক বাজার, কানাইপুর বাজার, বোয়ালমারী পৌর বাজার, মধুখালী বাজার, আলফাডাঙ্গা বাজার ও ভাঙ্গা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন বাজার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার ফসলি জমিতে পানি উঠে গেছে। এ কারণে অনেক সবজি বা মরিচের জমিতে পানি উঠে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক মাঠে মরিচের গাছ মরেও যাচ্ছে। মাত্র ৬-৭ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে। জেলা-উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে দেশের বাইরে থেকে মরিচ আমদানি না হলে মরিচের দাম আরো বেড়ে যেতে পারে বলে ক্রেতা-বিক্রেতা আশঙ্কা করছেন।
ফরিদপুর শহরের চক বাজারের ব্যবসায়ী আজগর আলী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। পাইকারি বাজার থেকে ২০০ টাকা দরে কিনেছিলাম। সেগুলো এখন ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে বোয়ালমারী পৌর বাজারের আড়তদার হাসান মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম কয়েক গুন বেড়ে গেছে। আজকে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারী মরিচ বিক্রি হয়েছে।
বোয়ালমারী পৌর বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে মরিচের আমদানি কম। আজকে পাইকারি বাজারের আড়ত থেকে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে কিনেছি। এখন সেটা খুচরা হিসেবে সকালের দিকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান জানান, জেলায় সবচেয়ে বেশি মরিচ চাষ হয় মধুখালীতে। বুধবার মধুখালীতে গিয়ে জানতে পারলাম, যারা জমি থেকে মরিচ তোলেন, শুকনার সময় তারা ৮-১০ টাকা পারিশ্রমিক পান। সেখানে বৃষ্টির সময় তারা পারিশ্রমিক পাচ্ছে ১৪-১৫ টাকা কেজিতে। এজন্য একটু খরচও বেড়ে গেছে। আজকে বিভিন্ন বাজারে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে খুচরা মরিচ বিক্রি হয়েছে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ দাম বেড়েছে। বৃষ্টি কমলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশা করছি।
জেএইচ