ঢাকা, সোমবার, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২, ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৮ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

ব্রিজ নির্মাণের ১০ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে ৭ গ্রামের মানুষ

মনোয়ার হোসেন লিটন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১২, জুলাই ১৩, ২০২৫
ব্রিজ নির্মাণের ১০ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে ৭ গ্রামের মানুষ ব্রিজ নির্মাণের ১০ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১০ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী সাত গ্রামের ১০ হাজার মানুষ।

দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সরকারের সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ  হয়। তবে ব্রিজের দুই পাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কার্যত সড়কটি সেই থেকে অচল হয়ে পড়েছে। এতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ী, পুরাতন যাদুরচর, ঝাউবাড়ী, বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ী, বাওয়াইরগ্রামের হাজারও মানুষকে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে ব্রিজটি প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে। ব্রিজের দুইপাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয় নাই সংযোগ সড়ক।

স্থানীয় বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ চলাচল করতেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দুইপাশে মাটি দিয়ে ভরাট না করায় ওই সময় থেকে সচল রাস্তাটি অচল হয়ে গেছে।

দুবলাবাড়ী বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, রুহুল আমিন বলেন, দুবলাবাড়ী বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নাই। ব্রিজটিতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ পাকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তারা।  

ব্রিজটি উপজেলার যাদুরচর ও রৌমারী সদর এই দুই ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কে হওয়ায় এর দিকে কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরাতন যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বরের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ নির্মাণে সরকারের মোট ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয় হয়।  

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সামসুদ্দিন বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। সেতুটি যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে আমরা সেটি যান চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করব।  

রৌমারী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল কুমার হালদার বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে চলতি অর্থবছরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।