লক্ষ্মীপুর: ঢাকার বিমানবন্দর থেকে মাইক্রোবাসে করে লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজার এলাকার রহমতখালী খালে পড়ে নিহত সাতজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) আসরের নামাজের পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পশ্চিম চৌপল্লী জয়তারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একসঙ্গে নিহত ছয়জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত সাতজনের মধ্যে বাকি একজনকে অন্যত্র দাফন করা হয়েছে।
জানাজায় ইমামতি করেন চৌপল্লী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আবদুস সালাম। জানাজা পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে অংশ নেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এআর হাফিজ উল্যা, উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবু ইউসুফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ অংশ নেন।
জানা গেছে, ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিনকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসতে তার বাবা, মা, স্ত্রী, মেয়ে, নানি, শ্বশুর, শ্যালক ও অন্যান্য আত্মীয়সহ ১১ জন যাত্রা করেন। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারের রহমতখালী খালে পড়ে যায়। মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ১৩ জন ছিলেন। পানিতে ডুবে ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়, যাদের সবাই একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু ও চারজন নারী।
নিহতরা হলেন- প্রবাসী বাহারের মা মুরশিদা (৫০), স্ত্রী কবিতা (২৩), মেয়ে মীম (২), নানি ফয়জুননেছা (৮০), ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী (২৫), ভাতিজি লামিয়া (৮) ও রেশমী (৯)।
বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা হলেন- প্রবাসী বাহার উদ্দিন, তার বাবা আবদুর রহিম, শ্বশুর ইসকান্দর মির্জা, শ্যালক রিয়াজ, ভাইয়ের স্ত্রী সুইটি এবং গাড়িচালক রাসেল।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়। তবে বাহারের নানি ফয়জুননেছাকে দাফন করা হয়েছে হাজিরপাড়া এলাকায়।
** নোয়াখালীতে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৭
** ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ লিখে ফিরলেন প্রবাসী বাহার, হারালেন মা-স্ত্রী-কন্যাসহ ৭ জনকে
এসআরএস