ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

৪ দিনে ‘প্লেন’ তৈরি করে আকাশে ওড়ালো রাহুল!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:১৯, আগস্ট ১২, ২০২৫
৪ দিনে ‘প্লেন’ তৈরি করে আকাশে ওড়ালো রাহুল! ৪ দিনে তৈরি প্লেন

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে মাত্র চারদিনে প্লেন তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে স্কুলছাত্র রাহুল শেখ। তার প্লেন ওড়ানো দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ।

রাহুল বালিয়াকান্দি উপজেলার বারমল্লিকা গ্রামের কৃষক শামসুল শেখের ছেলে। সে স্থানীয় রামদিয়া বেনীমাধব বিপিনচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।

রাহুল জানায়, তার স্বপ্ন একদিন বড় বিজ্ঞানী হওয়া। সেই স্বপ্নের প্রথম ধাপ হিসেবে নিজের হাতে বানিয়ে ফেলেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘অচিন পাখি’  মডেলের একটি প্লেন, যা সফলভাবে আকাশে ওড়াতে পেরেছে সে। মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচে তৈরি এই প্লেনের পেছনে ছিল রাহুলের অদম্য ইচ্ছাশক্তি, ইউটিউব থেকে শেখা জ্ঞান এবং প্রচুর ধৈর্য।

শুরুতে প্রথম মডেলটির ওজন বেশি হওয়ায় উড়তে ব্যর্থ হলে অনেকে হাসাহাসি করলেও দমে যায়নি রাহুল। টানা চারদিনের দিন-রাত পরিশ্রমের পর অবশেষে নিজের হাতে বানানো প্লেনটি আকাশে উড়াতে সক্ষম হয় এই খুদে আবিষ্কারক।

রাহুল বলে, মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এবং নিজে কিছু টাকা জমিয়ে মোটর, ব্যাটারি ও রিমোট কন্ট্রোলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনে মাত্র চারদিনে প্লেনটি নিজ হাতে তৈরি করেছি। প্লেনটি আকাশে উড়তে দেখে আমার মন ভরে যাচ্ছে। আমার প্লেন দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন। এতে আমি খুব খুশি।

রাহুলের এই সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক, সহপাঠী ও এলাকাবাসী অবাক হয়েছেন। এখন গ্রামজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী রাহুল। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন প্লেনটি দেখার জন্য।

রাহুলের মা আলেয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে দিন-রাত পরিশ্রম করে বিমানটি তৈরি করেছে। প্রতিদিনই এটি দেখতে অনেক লোকজন বাড়িতে আসছে। আমার খুব ভালো লাগছে। আমার ছেলে ভবিষ্যতে আরও বড় কিছু আবিষ্কার করবে—এই দোয়া করি।

রাহুলের বাবা শামসুল শেখ বলেন, আমি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে রাহুল সবার ছোট। ও শুধু বিমানই নয়, ফ্যান-লাইটসহ অনেক কিছু বানিয়েছে। এসব জিনিস তৈরির প্রতি ওর ঝোঁক বেশি। আমিও চাই এই লাইনেই ও নিজের মতো বড় হোক। আমার পক্ষ থেকে যতদূর সম্ভব সহযোগিতা করব।

প্রতিবেশী মিঠু মল্লিক বলেন, রাজবাড়ী জেলার মধ্যে একমাত্র রাহুলই এমন একটি বিমান তৈরি করেছে। ও আমাদের জেলার গর্ব। ওর জন্য অনেক দোয়া করি, যেন ও বড় কিছু করতে পারে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।