ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

সারাদেশ

বাগেরহাটে তিনদিনের হরতাল, আওতামুক্ত থাকবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১২, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
বাগেরহাটে তিনদিনের হরতাল, আওতামুক্ত থাকবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

বাগেরহাট: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত টানা তিনদিনের হরতালের পরিধি ও সময় কিছুটা কমিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা দেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনর ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম.এ সালাম।

এসময়, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামাতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এবং মঙ্গল ও বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হবে। হরতালের সময় দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজার খোলা থাকবে। জনগণের ভোগান্তি কমাতে রিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল চলবে। তবে মহাসড়কে কোন প্রকার যাত্রীবাহী বাস, পন্যবাহী ট্রাক চলবে না। স্থানীয় যোগাযোগের ছোট সড়ক হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা এম.এ সালাম।

তিনি বলেণ, জনগণের দুর্ভোগ বিবেচনায় হরতালে শুধুমাত্র মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সামনে সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা রয়েছে। যার ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও হরতালের আওতা মুক্ত থাকবে। তবে আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সদস্য সচিব শেখ মো. ইউনুস বলেন, জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি, বিদ্যুৎ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পরীক্ষার্থীদের বাহন, রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল হরতালের আওতার বাইরে থাকবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দীপু জানান, আমরা উচ্চ আদালতে রিট করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আশাকরি আগামী সপ্তাহে শুনানী হবে। আমরা কাঙ্খিত আসন ফিরে পাব।

এর আগে গেল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে রোববার সরকারি অফিস ঘেরাও, সোম, মঙ্গল ও বুধবার হরতালের ঘোষনা দিয়েছিল সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। তবে ঘোষনা অনুযায়ী রোববার ঘেরাও কর্মসূচি না করে, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেন। পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

গেল ৩০ জুলাই দুপুরে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুরু করে। চারটি আসন বহাল রাখারদাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটবাসী। এরপরেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনইজারি রেখে চুড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশনের এই আসন বিন্যাস গন মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করেছে বলে জানান সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা।

চুড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী, বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা)ও বাগেরহাট-৩(কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। দীর্ঘদিন থেকে ৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা: বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২(বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।

 

এমআরএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সারাদেশ এর সর্বশেষ