যশোর: শহরে লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা ও ইজিবাইক বন্ধে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে পৌর প্রশাসন। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছেন শ্রমিকেরা।
এর প্রভাবে শহরে চলাচলকারী মানুষেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। বিক্ষোভের কারণে শহরে রিকশার সংখ্যা কম থাকায় অনেককে দীর্ঘ পথ হেঁটে পাড়ি দিতে হয়েছে।
সকালে শ্রমিকেরা প্রথমে মুজিব সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন। এতে সড়কটিতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে তারা পৌর ভবন ঘেরাও করেন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
শ্রমিকদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আশ্রম রোড, প্রেসক্লাব চত্বর, আইনজীবী সমিতি মোড়, জেলা পরিষদ মোড়, দড়াটানা ভৈরব চত্বর, গরীব শাহ সড়কসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা অবস্থান নেন। এসময় পরিবহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক শ্রমিক এসময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। তারা স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদের বহনকারী বৈধ রিকশা ও ইজিবাইক থামিয়ে হয়রানি করেন।
শ্রমিকদের দাবি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। লাইসেন্স না থাকা রিকশাগুলোর চলাচলের অনুমতি দিতে হবে এবং পৌরসভা কর্তৃক আটক করা গাড়ি, ব্যাটারি ও মালামাল অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে। দাবিগুলো মানা না হলে তারা আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যশোর শহরে যানজট ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা কমিটির নিয়মিত সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ লাইসেন্সবিহীন অটোরিকশা বন্ধের দাবি তোলেন।
সেই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান শুরু হবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পৌরসভা বদ্ধপরিকর। তিনি যশোরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
যশোর পৌরসভা গত এক সপ্তাহ ধরে শহরজুড়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে লাইসেন্সবিহীন ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আসছে পৌর প্রশাসন। এই ঘোষণার পর থেকেই শহরে উত্তেজনা বিরাজ করে এবং বুধবার তা বিক্ষোভে রূপ নেয়।
এসএইচ