ঢাকা, রবিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

যশোরে দৃশ্যমান হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৯, অক্টোবর ১১, ২০২৫
যশোরে দৃশ্যমান হয়েছে জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ  যশোরে দৃশ্যমান জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ 

যশোর: শহরের বকুলতলায় অবশেষে দৃশ্যমান হলো ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’। পুরো কাজ দু-একদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে যশোর গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

লোহার পাত দিয়ে তৈরি স্মৃতিসৌধের কাঠামোটি শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থাপন করা হয়েছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল থেকে শ্রমিকরা স্মৃতিসৌধে রঙ ও সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করেন।
 
যশোর গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। এ প্রকল্পের জন্য ১৪ লাখ টাকার বাজেট নির্ধারিত। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৮ ফুট এবং ডায়া ৬ ফুট। যা লোহার মোটা শিট দিয়ে তৈরি।

স্মৃতিসৌধের গোলাকার স্তম্ভে কাটিং (সিএনসি) করা হয়েছে ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের সময় জনতার মুখে মুখে উচ্চারিত উদ্দীপনামূলক স্লোগানগুলো।

যশোর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুই একদিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্মৃতিসৌধে উল্লেখিত স্লোগানের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে জনগণের প্রতিবাদ, সাহস ও প্রতিরোধের ভাষা, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে দেবে আন্দোলনের শক্তি কতটা যুগান্তকারী হতে পারে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো যশোরের বিভিন্ন স্থানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে শহরের বকুলতলায় অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের বিশাল ম্যুরালটির অংশবিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। এর কিছুদিন পর বিক্ষুব্ধরা সেখানে বুলডোজার দিয়ে ফের ভাঙা শুরু করে।  

এরপর এই স্থানে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণের‌ জন্যে ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করা হয়। পরদিন ১৪ জুলাই বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।

যশোর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, যানজট নিরসনে স্মৃতিসৌধ এলাকায় থাকা প্রাচীর ভেঙে রাস্তার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এরফলে এই অঞ্চলের যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।  

যশোর পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বিএম কামাল হোসেন বলেন, স্মৃতিসৌধের পাশের জায়গা সেখানকার মূল সড়কের সাথে সংযুক্ত করার কাজও চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানো হয়ে গেলে সৌধের পাশের রাস্তার সঙ্গে সংযোগ করা হবে।

এস এইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।