ঢাকা: ইতিহাস গড়ে প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে মালদ্বীপের মাটিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। মালদ্বীপের পুলিশ ক্লাবের হয়ে ক্লাব মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা নামের একটি আসরে অংশ নিতে বর্তমানে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অবস্থান করছেন তিনি।
গত ৪ মার্চ মঙ্গলবার মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সাবিনা। বুধবার পৌঁছেই একদিন বিশ্রাম নিয়ে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। সবার নজর এখন বাংলাদেশী এ তরুনীর দিকেই। কারণ, মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবে তিনিই একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড়।
গত নভেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয় মালদ্বীপ। ম্যাচে দু’টি গোল করেছিলেন সাবিনা। আর সে ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবের এক কর্তা। সাবিনার খেলা দেখে তাদের পছন্দ হয়। পরে বাফুফের মাধ্যমে তাদের নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নেয়।
উল্লেখ্য, ৪০ বছর আগে এমন এক ইতিহাস গড়েছিলেন বর্তমান বাফুফে প্রেসিডেন্ট ও তারকা ফুটবলার কাজী মো: সালাউদ্দিন। ১৯৭৫ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশী ফুটবলার হিসেবে খেলেছিলেন হংকংয়ের পেশাদার লিগে এফসি ক্যারোলিনের হয়ে। তখন কাজী সালাউদ্দিন ঢাকার ফুটবলে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলতেন। আর সাবিনা খাতুন খেলছেন ঢাকা মোহামেডানের হয়ে।
সাবিনার ক্লাবটি বর্তমান রানার্সআপ মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা টুর্নামেন্টের। তাই এবার অনেক বেশী দ্বায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে সাবিনাদের। আর দেশ ছাড়ার আগে সাবিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন ‘আমি মালদ্বীপে গিয়ে প্রমাণ করব বাংলাদেশের মেয়েরা সত্যিই ভাল ফুটবল খেলতে পারে। আর আমি যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে দেশের অন্য মেয়েরাও ভবিষ্যতে বিদেশী ক্লাবগুলোতে খেলার সুযোগ পাবে। ’
এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। যেখানে অংশ নেবে মোট ১৪ টি দল। সাবিনা পুলিশ ক্লাবের হয়ে মাঠে নামবে ১৭ মার্চ। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ এমইই ক্লাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘন্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫