ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

আন্দোলন দমাতে এবার কারফিউ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৪৬, জুলাই ২০, ২০২৫
আন্দোলন দমাতে এবার কারফিউ জুলাইগাথা

হামলা, গুলি, ইন্টারনেট বন্ধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থামাতে পারেনি তৎকালীন আওয়ামী সরকার। তাই ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে পুরো দেশকে অঘোষিত কারাগারে পরিণত করে কারফিউ জারি করা হয়।

বন্ধ করে দেওয়া হয় যানবাহন চলাচল এবং রাজধানীর প্রবেশপথগুলোতে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। যাত্রাবাড়ী এলাকায় টানা চতুর্থ দিনের মতো চলা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসুচিতে আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন বাহিনী যৌথ হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়।

গত বছরের জুলাই আন্দোলনের নৃশংস ঘটনাগুলোর সঙ্গে ২০ জুলাইয়ের এসব ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ তিনজনেরর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া আনুষ্ঠিক অভিযোগপত্রে। যে মামলায় আসামি করা হয়েছে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে। যদিও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ইতোমধ্যে রাজসাক্ষী হয়েছেন।

ফরমাল চার্জ মোট ১৩৫ পৃষ্ঠার। এই ফরমাল চার্জ আদালতে তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. আব্দুস সোবহান তরফদার, মো. মিজানুল ইসলাম। যেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

নথি ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ২০ জুলাই শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কাজলা, রায়েরবাগ, শনির আখড়া এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান ও প্রতিরোধ গড়ে তুললেও বিকেল নাগাদ তারা গুলি, গ্রেনেড বিস্ফোরণ এবং হেলিকপ্টার থেকে চালানো অভিযানের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। শুধু রাজধানী নয়, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, নরসিংদী, সাভার এই সব স্থানেও শিক্ষার্থীদের রক্তে ভেসে যায়। এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামরিক অভিযানের ন্যায় অপারেশন চালিয়ে কমপক্ষে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। এই দিনসহ বিগত চার দিনে নিহতদের বড় অংশই তরুণ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। সরকার এই নিধনযজ্ঞের কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে উল্টো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা চালায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন পর্যায়ক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষার্থীদের হল থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়, আর যেসব শিক্ষার্থী শান্তিপূর্ণভাবে কোটাব্যবস্থার সংস্কার চাইছিল, তাদের ওপর চালানো হয় ভয়াবহ দমন-পীড়ন। ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সরকারি স্থাপনায় হামলার অজুহাতে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সরকার গুলিবর্ষণের কথা অস্বীকার করলেও শহীদ ও আহতদের অধিকাংশের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

যাত্রাবাড়ী
সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য মারমুখী অবস্থান নেয়। তারা সাঁজোয়া যান, হেলিকপ্টারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। দুপুর ১টার দিকে তারা আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। র‌্যাব, পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর গুলিতে ইমাম হাসান তাঈম ভূইয়া ও তিনজন আন্দোলনকারী শহীদ হন। শনির আখড়ার কাজলা এলাকার অনাবিল হাসপাতালের সামনে ইফতি নামের ১৪ বছরের এক ‘স্কুলছাত্র’ গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়। আন্দোলনে আহত তার এক বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে শহীদ হন ইফতি। এ ছাড়া আহত হয় আরও শতাধিক আন্দোলনকারী।

রামপুরা-বাড্ডা
আন্দোলনকারী সাধারণ শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিরস্ত্র সাধারণ জনগণ উত্তর বাড্ডার ফুজি টাওয়ারের সামনের সড়কে শান্তিপূর্ণ অবস্থান গ্রহণ করে। অনুমান দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আন্দোলনকারীদের ওপর বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করলে অন্তত দুজন ঘটনাস্থলে শহীদ হন এবং আরও অনেকে আহত হন।

উত্তরা
উত্তরার আজমপুর, হাউজ বিল্ডিং ও আব্দুল্লাহপুরে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন দুপুর ১২টার দিকে আজমপুর বিএনএস সেন্টারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিতে গেলে পুলিশ তাদের টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ছাড়া দুপুর সোয়া ১টার দিকে আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেটের সামনের পুলিশের ৩০-৪০ সদস্যের একটি দল নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

মোহাম্মদপুর ও মিরপুর
মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ গুলি, টিয়ারশেল এবং সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এ ছাড়া রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষের ফোন চেক করে তাদের হেনস্তা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা।

গাজীপুর
গাজীপুরে আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে স্থানীয় গার্মেন্টস শ্রমিকরাও যোগ দেয় এবং নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর চলমান হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার প্রতিবাদ জানায়। এ সময় পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র হেলমেটধারী ক্যাডাররা গুলি, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া গুলিতে তিনজন শহীদ হন ও ৪৬ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক লোক আহত হন। পরে আইইউটি (ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি), বড়বাড়ি, জয়দেবপুর চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার ও সুলতান মেডিকেলের সামনে এবং বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা হামলার শিকার হন।

পুলিশের গুলিতে বোর্ডবাজারে দুজন শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের নাম রায়হান (১৮)। তিনি নওগাঁর নেয়ামতপুরের মামুনুর রশিদের ছেলে। এ ছাড়া জয়দেবপুর চৌরাস্তার টেলিপাড়ায় নুরুল আমিন নামে আরেকজন গুলিতে শহীদ হন। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের আমির হোসেনের ছেলে। নুরুল আমিন দিনমজুর, থাকতেন টেলিপাড়া এলাকায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ওষুধ কিনতে তিনি বের হয়েছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন। এদের অনেককে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। গুলিতে অনেকের হাত-পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। আন্দোলন দমন করতে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টার টহল দিয়েছে। এ সময় হেলিকপ্টার থেকে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। বিকেলের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে হামলায় পুলিশের সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।

সাভার
সাভারে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের নৃশংস হামলায় এই এলাকা বিভীষিকায় পরিণত হয়। কারফিউ শিথিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনকারীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই তাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালাতে থাকে। সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়ে পুলিশ নির্বিচারে আক্রমণ করে। তাদের এই আক্রমণ এতটাই পৈশাচিক ছিল যে, তা অনুমান করাও কঠিন। তাদের আচরণে মানবিকতার ছিটেফোঁটাও ছিল না।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন, অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল। এখানে কোরবান শেখ নামে একজন আন্দোলনকারী শহীদ হন।

নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা ভয়াবহ রূপ নেয়। কারফিউ শিথিল হওয়ার পর আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে। এ সময় পুলিশ ও র‌্যাব তাদের ওপর অত্যাধিক মাত্রায় হামলা চালায়। সেখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন পুলিশ ও র‌্যাব আন্দোলনকারীদের ওপর একের পর এক হামলা চালাতে থাকে। তারা রাইফেল, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, রাবার বুলেটসহ বিভিন্ন ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে। পুলিশের এই হামলায় আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধ গড়তে চেষ্টা করলে পুলিশ আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ হাজী ইব্রাহিম শপিং কমপ্লেক্স থেকে তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রোডের কলতাপাড়ায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক গুলি চালায়, যার ফলে কমপক্ষে ৪ জন শহীদ হন এবং ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক মানুষ আহত হন। শাহাদত বরণকারীরা গৌরীপুর পলিটেকনিকের ছাত্র ছিলেন এবং তারা হলেন রাকিব, বিপ্লব, নাঈম এবং ফারুক।

ইফাত হাসান হত্যাকাণ্ড
জুলাই বিপ্লবের শত শত শহীদের মতোই একটি নাম ঢাকার যাত্রাবাড়ীর এ কে হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ইফাত হাসান। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা ইফাত মাত্র ১৬ বছর বয়সেই যে কিশোর মানবতার দায়ে এগিয়ে গিয়েছিল, আর ফিরতে পারেনি মায়ের কোলে। আহত এক মানুষকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াই ছিল তার অপরাধ। আর সেই অপরাধের শাস্তি ছিল বুক লক্ষ্য করে গুলি করে হত্যা। পরিবারের ভাষ্যমতে, হাসপাতাল থেকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়। বহুবার বলেছিল—“আঙ্কেল, আমি এই এলাকায় আর কখনো আসবো না, আমাকে ছেড়ে দিন। ” কিন্তু তার সেই মিনতি কেউ শোনেনি। পুলিশ সরাসরি তার বুকে গুলি করে, যা হাত ভেদ করে তার পাঁজরে ঢুকে যায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এক সাহসী কিশোর। ঘটনাস্থলেই প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে শহীদ হয়ে যায় কিশোর ইফাত।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আসামি শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসামী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তৎকালীন আইজিপি আসামি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন উসকানি, প্ররোচনা, উৎসাহ, সহায়তা সর্বোপরি অধঃস্তনদের নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

এদিনের ঘটনাসহ জুলাই আন্দোলনের পুরো ঘটনায় যৌথ দায় হিসেবে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিবন্ধন (১২৭ নং) করা হয়। ওই অভিযোগের প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো. জানে আলম খান। পরে তদন্ত করেন উপপরিচালক মো. আলমগীর (পিপিএম)। সার্বিক সহযোগিতা করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে ৩১ মে সম্পূরক অভিযোগ দেওয়া হয়। ১ জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনার মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় আগামী ৩ আগস্ট সূচনা বক্তব্য এবং ৪ আগস্ট প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।

৫ আগস্টের পর ট্রাইব্যুনালে গত ২৫ জুন পর্যন্ত ২৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২০৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৩ জনকে। কারাগারে মৃত্যু হয়েছে এক আসামির।

ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।