‘যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে’- প্রধান উপদেষ্টার এমন মন্তব্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে রাজনীতিবিদরা। তারা বলছেন-ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, এটা নতুন কোন কথা না, ষড়যন্ত্র থাকবে।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন পতিত শক্তি গন্ডগোল লাগিয়ে নির্বাচনের আয়োজনকে ভন্ডুল করারা চেষ্টা করছে। এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। “অভ্যুত্থানের সকল শক্তি মিলে একটি সুন্দর নির্বাচন করতে না পারলে এই মস্তবড় সুযোগ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে,” বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মতবিনিময়কালে বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই নানা রকম গন্ডগোল সৃষ্টি করছে। এসব করে তারা দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
“যখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি তখনই নানা ষড়যন্ত্র সামনে আসছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কোন ষড়যন্ত্র করেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করা যাবেনা। কারণ ফ্যাসিবাদ প্রশ্নে সবগুলো গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য স্পষ্ট,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
জুলাই অভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পলায়নের ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তরবর্তীকালীন সরকার। সেই সরকার সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন গঠন করে । ওই কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দেওয়ার পর ঐক্যমত্যের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করছে সরকার। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
এর মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে সংস্কার ও নির্বাচনের কাজ এক সাথে করার দাবি জানান। বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানান। আর জামায়াত যৌক্তিক সংস্কার করে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেন। আবার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনও চেয়েছেন। তবে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি সংস্কার ও বিচার শেষ করে নির্বাচনের দাবি জানায়।
এমন পরিস্থিতে ঈদুল আযহার আগের দিন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে। ’
এপ্রিলে নির্বাচনের সময় ঘোষণা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুস্পষ্ট কারণ ব্যাখ্যা না করলেও রোববার (৮ জুন) রাতে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচনের সময় পেছানোর কারণ হিসেবে তিনি তিনটি যুক্তি দিয়েছে। ১. সংস্কার, ২. বিচার ও ৩. নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন আয়োজনের আগে কিছু মৌলিক সংস্কার দরকার, সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশনের সুপারিশ একে একে হাতে আসছে এবং সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও সর্বস্তরের অংশগ্রহণে নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রস্তুতির জন্য নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন। এই বিবেচনায় এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযুক্ত সময় ধরে এগোনো হচ্ছে।
এরপরও বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি নিয়ে অনড় থাকে। পরবর্তীতে ১৩ জুন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেড় ঘণ্টাব্যাপী একান্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বেলা ২টায় পার্ক লেইনে ডরচেস্টার হোটেলে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি (সরকার ও বিএনপি) পড়ে শোনান নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। তাতে বলা হয়, অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে আগামী বছরের রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তাব করেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও মনে করেন, ওই সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভালো হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার এ অবস্থানকে স্বাগত জানান এবং দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান উপদেষ্টাও তারেক রহমানকে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি রোজা শুরু হতে পারে।
এরপর নির্বাচন কমিশনও তাদের প্রস্তুতি নিতে থাকে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার শনিবারের বক্তব্য নতুন করে আলেচনার জন্ম দেয়। কারণ জুনের পর থেকে দেশে বড় ধরণের তিনটি সংঘতেরর ঘটনা ঘটে। একটি হলো-মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে পিটিয়ে এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে হত্য। অপরটি হলো গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাদের ওপর পতিত সরকারের সমরথকদের হামলা এবং সচিবালয়ে হামলা।
মিটফোর্ড
গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) এলোপাতাড়ি পাথর দিয়ে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনার পরদিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হলো।
গোপালগঞ্জ
১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ওই ঘটনায় পাঁচজন নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক। রাতেই জারি করা হয় কারফিউ। পরে কারফিউর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে সদর, কাশিয়ানী, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া থানায় মোট ১২টি মামলা করা হলো। এর মধ্যে হত্যা মামলা পাঁচটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা একটি এবং সন্ত্রাস দমন আইনে ছয়টি। এসব মামলায় মোট ১০ হাজার ১৮৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১২টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৯ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাগুলোতে ১৬ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সচিবালয়
গত সোমবার রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীসহ ২৯ জন নিহত হন, আহত হন দেড় শতাধিক। মর্মান্তিক এ ঘটনার পর মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয় সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে। সকালে এ ঘোষণা নিয়ে সারা দেশের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার শুরু হয়।
এর জেরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সেখানে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেওয়ার পর একপর্যায়ে সচিবালয়ের মূল ফটক খুলে ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। ভেতরে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। তখন পুলিশ ও সেনাসদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে বাইরে বের করে দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে সচিবালয়ের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।
পরে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের পাশে জিপিও মোড় ও হাইকোর্ট মোড় এলাকায় অবস্থান নেন। সেসব জায়গা থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ দেওয়া হয়। পরের দিন বুধবার রাতে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার চারজনকে হয়।
এ তিনটি ঘটনা দেশ বিদেশে নানান আলোচনার জন্ম দেয়। এ আলোচনার মধ্যে যমুনা থেকে পতিত শিক্তর ষড়ন্ত্রের কথা এলো।
রাজনীতিবিদদের বক্তব্য
এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির(সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্র বলতে যেটা বোঝায় গণতন্ত্রের পথ চলা যদি নির্বিঘ্ন করা যায় তাহলে কোন ষড়যন্ত্রই থাকবে না। ষড়যন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে, এটা নতুন কোন কথা না, ষড়যন্ত্র থাকবে। আমি মনে করি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে এগিয়ে গেলে সব ষড়যন্ত্র কাটানো যাবে।
বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে বলেন, দেশে এখন প্রধান প্রশ্ন হলো নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া উচিত। যেহেতু আইন শৃঙ্খলা যেভাবে অবনতি ঘটছে। বিভিন্ন পরাজিত ও মাফিয়া শক্তি নির্বাচনকে পেছানোর জন্য, না হওয়ার জন্য এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ করে বার বার বলা হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ নেই। এটা এখন ট্রেন্ড হয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। দেশে ১২টি নির্বাচন হয়েছে। প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগে এরকম একটা অবস্থা থাকে। এটার মানে এই নয় যে একবারে শান্ত হলে নির্বাচন করতে হবে। এ সমস্ত ন্যারেটিভ থেকে আজকে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন গন্ডগোল পাকিয়ে নির্বাচনকে পেছানোর বা নির্বাচনকে ভূন্ডুল করার একটা পায়তারা চলছে। তিনি নিজেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এটা আমাদের সন্দেহ যে .... এখন এটাকে প্রায়োরিটি দিয়ে নির্বাচনকে পিছিয়ে নেয় বা নির্বাচনকে যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে নেয় তাহলে তো আমি মনে করবো যে অভ্যুত্থান পরবর্তীতে যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিলো এখন দেখছি সার্বাভৌমত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
একই অনুষ্ঠানে ব্যারিম্টার রাশনা ইমাম বলেন, নির্বাচন পেছানোর নানান ধরণের পায়তারা দেখছি। সম্প্রতি গোপালগঞ্জের ঘটনা, মাইলস্টোনের পরে সচিবালয়ের ঘটনা। দুইজন উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রাখলো। এ্গুলো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিগড়ানোর একটা উদ্দেশ্যে। আজকে প্রধান উপদেষ্টার বৈকঠে একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন এখানে পতিত সরকারের লোকজন ইনভলব ছিলেন। গোয়েন্দা থেকে পেয়েছেন। তারা তো পায়তারা করছেন। সেটা এক ধরণের বাধা নির্বাচনের পথে । আরেকটা বাধা দেখেছি নানা ধরণের তর্ক বিতর্ক দাবি যেগুলো দেওয়া হলো। সংস্কার আগে নির্বাচন পরে। ন্যায়বিচার আগে নিরবাচন পারে এগুলো বেশ কিছুদূর অযৌক্তিক। কারণ ন্যায় বিচার আগে নিরবাচন পরে হতে পারে না। ন্যায় বিচার চাট্টিখানি ব্যাপার নয়। ন্যায় বিচার একটা সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সময় কিছুদূর লাগা উচিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যতগুলো বিচার হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলে এগুলো তড়িগড়ি করে করা হয়েছে। তারপরও আড়াই বছরের মতো লেগেছে এবং পুরোপুরি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আমরা তো চাইনা পতিতদের বিচারগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হোক ...সুতরাং সংস্কার আগে, বিচার আগে নির্বাচন পরে, ...এগুলো মনে হয় এগুলো কিছুটা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। উদ্দেশ্যেটা হচ্ছে নির্বাচন পেছানো।
এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সম্প্রতি সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ বলেছেন, ‘ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং এর পেছনে রয়েছেন ড. ইউনূস। ’ তার দাবি, ড. ইউনূস রাজনৈতিক কৌশলে বিএনপিকে ফাঁদে ফেলেছেন আর নির্বাচনের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
সম্প্রতি তৃতীয় মাত্রার এক টক শোতে অংশ নিয়ে এম এ আজিজ এসব কথা বলেন।
ইএস