ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বাস রাখায় বিসিবিকে ধন্যবাদ সাইফউদ্দিনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
বিশ্বাস রাখায় বিসিবিকে ধন্যবাদ সাইফউদ্দিনের

ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময়ই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে লড়তে হয়েছে ইনজুরির সঙ্গে। এই অলরাউন্ডার অনেকদিন ধরেই বয়ে বেড়াচ্ছেন চোট।

এবার চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হচ্ছে কাতারে। সেখানে ‘অ্যাসপেটার’ নামে একটি স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর কথা রয়েছে তার।

ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা করা হয়েছে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো ফুটবল তারকাদের। শুধু সাইফউদ্দিনই নন, তার সঙ্গে যাচ্ছেন দুই তরুণ পেসার অভিষেক দাস ও আশিকুর রহমান। শনিবার সন্ধ্যায় কাতারের উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে তাদের। এর আগে মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাইফউদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত ধন্যবাদ দিতে হয় বিসিবিকে, আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। ২০১০ সাল থেকে আমার ওপর ইনভেস্ট করে আসছে। ইনশাআল্লাহ্‌ এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু বোর্ড আমার পাশে আছে। আর প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য বোর্ড পাশে থাকলে কাজটা অনেক সহজ হয়। এজন্য নিজেকে অনুপ্রাণিত করছি। ’ 

‘ওখানে স্পোর্টস মেডিসিন সেন্টার আছে। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে স্পোর্টস মেডিসিনের দিক থেকে। ইউটিউবে ওদের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেছি। অনেক আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ্‌ ভরসা। ’

পুরো সপ্তাহকে যেন কাজে লাগানো যায়, এজন্য শনিবার উড়াল দিয়েছেন সাইফউদ্দিনরা। তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন বিসিবি চিকিৎসক মনজুর আহমেদ। সামনেই রয়েছে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট। সুস্থ হয়ে ফিরতে কতদিন লাগবে সাইফউদ্দিনের? নিশ্চিত করে তিনি বলতে পারেননি সেটি। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে না পেরে খারাপ লাগছে বলেও জানান এই অলরাউন্ডার।  

তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বলাটা কঠিন (সুস্থ হওয়া)। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল ওখানকার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে উনারা হয়তো একটা পরিকল্পনা দেবেন। অথবা আরও কয়েকজন চিকিৎসককে দেখানো হবে। তারপর আসলে ওখানে ভিজিট করার পর বলতে পারবো। এই মুহূর্তে বলা কঠিন। ’

‘অবশ্যই! খারাপ কেন লাগবে না। এখানে আমাদের সব কলিগ, বন্ধুবান্ধব, ছোট ভাই সবাই ক্যাম্প করছে, ফিটনেস টেস্ট দিচ্ছে, আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে এগুলো দেখছি। খারাপ তো অবশ্যই লাগবে। মাঠের খেলোয়াড় কিন্তু মাঠে আসতে পারছি না। তবু এখানে এলে ওদের সঙ্গে গল্প, আড্ডা- এসব করে সময়টা পার করি। যখন আবার সুস্থ হবো, ইনশাআল্লাহ্‌ তখন আবার ওদের একটা অংশ হবো। ’

প্রায়ই ইনজুরিতে মাঠের বাইরে থাকতে হয় সাইফউদ্দিনকে। মিস করেন অনেক বড় টুর্নামেন্টও। নিয়মিত ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করা ক্রিকেটারদের জন্য কতটা কঠিন? সাইফউদ্দিন বলছেন, এটাই তাদের পেশা।  

তিনি বলেন, ‘এটা আমার পেশা। সত্যি বলতে, আমি বিসিএস ক্যাডার নই যে, অন্য কোনো চাকরি করব (হাসি)। যত দিনই খেলতে হবে, লড়াই করে খেলতে হবে। এটা আমার রুটি-রুজি। ক্রিকেট আমার সব কিছু। এটার জন্য যতটুকু করা দরকার, সব সময় করে এসেছি এবং সবসময় করব। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।