ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাওয়ার প্লে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
পাওয়ার প্লে নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ

২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের শুরু হয়েছে ভারতের কাছে হেরে। সেই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল শান্তবাহিনী।

পরে তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি আর জাকের আলীর ফিফটিতে ভর করে লড়াই করার মতো পুঁজি পেলেও তা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়নি।

ব্যাটিং খারাপ হলেও বোলিংয়ে বাংলাদেশ ভালোই করেছিল। ২২৮ রানের পুঁজি নিয়েও ভারতকে জেতার জন্য ৪৭তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষায় রেখেছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ে উন্নতি না করলে সবটাই বৃথা যেতে পারে। বিশেষ করে টপ অর্ডার। বাংলাদেশের আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু জিততে হলে আগে ব্যাটিং করলেও বিশাল পুঁজি লাগবে।

আগের ম্যাচটি বাংলাদেশ খেলেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এবারের ভেন্যু পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি। এখানকার উইকেট ঐতিহ্যগতভাবেই ব্যাটিং সহায়ক। ২০২৩ সালে হওয়া শেষ দুটি ওয়ানডের তথ্যই তুলে দেওয়া যাক। দুই ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ৩৩৭ ও ২৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা অবলীলায় পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।

সেই রাওয়ালপিন্ডির উইকেটেই এবার বাংলাদেশের ব্যাটাররা বড় ইনিংস গড়ার কিংবা বিশাল লক্ষ্য তাড়া করার চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম কি না, গত সন্ধ্যার সংবাদ সম্মেলনে এসে তেমন প্রশ্নের মুখেই পড়লেন হেড কোচ ফিল সিমন্স।

এই ক্যারিবীয় অবশ্য সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বোঝাতে চাইলেন তাঁর ব্যাটারদের সক্ষমতা, ‘শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে কয়েকবারই আমরা তিন শ পার করেছি (আসলে একবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের এক ম্যাচে ৩২১। আরেক ম্যাচে ২৯৪)। কাজেই আমাদের বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে। শেষ ম্যাচে (ভারতের বিপক্ষে) শুরুটা ভালো হয়নি বলে আমরা দুই শ পেরিয়েছিলাম। শুরু ভালো হলে আমরাও বড় রান করতে পারি। ’ 

ভারত-ম্যাচে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই সব সম্ভাবনার অপমৃত্যু হয়। তাওহীদ হূদয় ও জাকের আলীর রেকর্ড ১৫৪ রানের পার্টনারশিপে মুখ রক্ষা হলেও প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো স্কোর জমা করা যায়নি। টপ অর্ডার ব্যাটাররা উদ্বেগ বাড়িয়েছেন। তাদের কেউ কেউ লম্বা সময় ধরে রানেও নেই। মুশফিকুর রহিম তাদের অন্যতম। শেষ ১৩ ওয়ানডেতে তার ফিফটি মোটে একটি। ভারত ম্যাচে প্রথম বলেই আউট হয়ে দলের বিপদও বাড়িয়ে গেছেন তিনি। ওপেনার সৌম্য সরকারের সাম্প্রতিক ফর্মও সুবিধার নয়।

সিমন্সকে অবশ্য ব্যাটারদের ফর্মের চেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে অন্য সমস্যা। সেটি পাওয়ার প্লেতে টপাটপ উইকেট হারিয়ে ফেলা। ভারতের বিপক্ষে ৮.৩ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে বাংলাদেশ। পরিস্থিতির চাপে সেদিন হূদয়-জাকের জুটিকে অনেকটা সময় ঝুঁকি এড়িয়ে ধরে খেলার চিন্তায় ডুবে থাকতে হয়েছে।  

সিমন্সও মনে করছেন, এবার টপ অর্ডার ব্যাটারদের নিজেদের মেলে ধরার সময় এসেছে। ফর্মের চেয়ে বরং তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রথম ১০ ওভারের ভালো ব্যাটিংকেই, ‘আমি ওদের ফর্ম নিয়ে বেশি ভাবছি না। এত দিন যেভাবে খেলে আসছি, প্রথম ১০ ওভারে তার চেয়ে ভালো কিভাবে করা যায়, আমার ভাবনা সেটি নিয়েই। মিডল ও লোয়ার অর্ডার অনেক সময়ই আমাদের পার করে নিচ্ছে। কিন্তু এখন টপ অর্ডারের দায়িত্ব বিশেষ করে প্রথম ১০-১৫ ওভারে ভালো করার। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।