তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের দারুণ উদ্বোধনী জুটির পর তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ো ইনিংসে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়েছে আমিরাত। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে তারা। যা ১ বল হাতে রেখে তাড়া করে আমিরাত। যদিও তারা হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। এই জয়ে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ভাগাভাগি করল দুদল।
তানজিদ ও লিটনের দারুণ জুটিতে শুরু হয় বাংলাদেশের ইনিংস। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৫ বলে তারা যোগ করেন ৯০ রান। স্রেফ ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করা তানজিদকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাগির খান। ৩৩ বলে ৫৯ রান করে ফেরেন টাইগার ওপেনার। লিটন দাস অবশ্য খেলতে থাকেন ধীরগতিতে। ৩২ বলে ৪০ রান করে তিনি ফেরেন জাওয়াদউল্লাহর বলে।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত সুবিধা করতে পারেননি আজও। ১৯ বলে ২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। চারে নেমে অবশ্য আজ রানের দেখা পান হৃদয়। দ্রুত ব্যাট চালান তিনি। যদিও ফিফটি পূর্ণ করতে পারেননি। ৪৫ রানেই শিকার হন সাগিরের। শেষদিকে জাকের আলি খেলেন ৬ বলে ১৮ রানের ইনিংস।
রান তাড়ায় নেমে আমিরাতের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। মোহাম্মদ জোহাইবের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন ওয়াসিম। একাদশ ওভারে এসে ডেডলক ভাঙেন তানভির। ৩৮ রানে ফেরান জোহাইবকে। তিনে নামা রাহুল দ্রুত বিদায় নেন রিশাদের শিকার হয়ে। তবে লড়াই চালাতে থাকেন ওয়াসিম। ২৫ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে আসিফের সঙ্গে গড়েন ৩৮ রানের জুটি।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে ফেরান শরিফুল। পঞ্চদশ ওভারে তার বল জাকের আলির হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নেন আমিরাত অধিনায়ক। যাওয়ার আগে খেলে যান ৪২ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। কিছুক্ষণ পর ফেরেন আসিফও। ১২ বলে ১৯ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে আমিরাত। শেষ ওভারে চমক দেখান হায়দার আলি। জেতান দলকে। ৬ ওভারে ১৫ রান করে নায়ক বনে যান তিনি।
আরইউ/জেএইচ