ভারত-পাকিস্তান মানেই ক্রিকেটপ্রেমীদের বাড়তি উত্তেজনা। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাঠের লড়াইতে সেই তীব্রতা যেন মিলিয়ে গেছে।
দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাট হাতে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে বাবরবিহীন পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম বৈধ বলেই সাইম আয়ুবকে হারিয়ে বসে দলটি। হার্দিক পান্ডিয়ার শর্ট লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট ঘোরাতে গিয়ে টাইমিং মেলাতে পারেননি তিনি, ফলাফল পয়েন্টে দাঁড়ানো বুমরাহর হাতে সহজ ক্যাচ।
পাওয়ারপ্লে পেরোনোর আগেই আরও একটি ধাক্কা। এবার শিকার মোহাম্মদ হারিস। বুমরাহর পেস ও সুইংয়ের সামনে টিকতে না পেরে মাত্র ৫ বলে করেন ৩ রান। দ্বিতীয় ওভারের শেষেই স্কোরকার্ডে পাকিস্তান ৬ রান তুলে হারায় ২ উইকেট।
সেখান থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। তবে ফখর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৫ বলে ১৩ রানের পর বাজে শটে ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপর সালমান আগা, হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ নাওয়াজ কেউই সুবিধা করতে পারেননি।
এক প্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে যান ফারহান। ৪৪ বলে দলের সর্বোচ্চ ৪০ রান করে তিনি ফিরলে পাকিস্তানের ইনিংস একপ্রকার ভেঙে পড়ে। তখনই দেখা দেয় ব্যাট হাতে শাহিন শাহ আফ্রিদির ঝড়। বোলিংয়ে ভয় দেখানো এই তারকা এবার ব্যাটেও চমকে দেন। শেষদিকে ১৬ বলে চার ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান তুলে দলকে অন্তত লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন তিনি। এর ফলে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৭ রান তুলে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।
ভারতের বোলিং আক্রমণে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদিপ যাদব। শুরুতেই বুমরাহর আগুনে স্পেল আর মাঝখানে কুলদিপের ঘূর্ণি পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপকে প্রায় গুঁড়িয়ে দেয়। শেষ মুহূর্তে আফ্রিদির ছোট্ট ঝলক না থাকলে আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছিল পাকিস্তানের জন্য।
এআর