ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন স্পন্সর হলো অ্যাপোলো টায়ার্স। আজ মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত নিলামে তিন পক্ষের প্রতিযোগিতা শেষে ৫৭৯ কোটি রুপির চমকপ্রদ প্রস্তাব দিয়ে স্পন্সরশিপ নিশ্চিত করেছে টায়ার কোম্পানিটি।
তিন বছরের এই চুক্তির আওতায় মোট ১২১টি দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ ও ২১টি আইসিসি ম্যাচে থাকবে অ্যাপোলো টায়ার্সের লোগো। প্রতি ম্যাচে গড়ে প্রায় ৪ কোটি ৭৭ লাখ রুপির সমান এই চুক্তি, যদিও দ্বিপাক্ষিক ও আইসিসি ম্যাচের মান ভেদে অঙ্কে কিছুটা ওঠানামা হতে পারে।
বিডিংয়ে অ্যাপোলো টায়ার্সকে চ্যালেঞ্জ জানায় গ্রাফিক ডিজাইন কোম্পানি ক্যানভা (৫৪৪ কোটি) এবং জে কে সিমেন্টস (৪৭৭ কোটি)। তবে তাদের ছাড়িয়ে যায় অ্যাপোলো। এর আগে দ্বিপাক্ষিক ম্যাচের জন্য সাড়ে তিন কোটি এবং বিশ্বকাপ ম্যাচের জন্য দেড় কোটি রুপি বেস প্রাইস নির্ধারণ করেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ভারত সরকার কর্তৃক সব রিয়েল মানি গেমিং কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করার আদেশে বাতিল হয়ে যায় ড্রিম১১-এর সঙ্গে আগের চুক্তি । ফলে এশিয়া কাপের শুরুতে ভারতীয় দলকে স্পন্সর ছাড়াই খেলতে হয়। এবার নতুন স্পন্সরশিপ থেকে বিসিসিআই আগের তুলনায় আরও বেশি আয় করতে যাচ্ছে। কারণ, ড্রিম১১-এর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তির পরিমাণ ছিল ৩৫৮ কোটি রুপি, আর অ্যাপোলো দিচ্ছে প্রায় ২০০ কোটি বেশি।
নতুন স্পনসরের লোগো প্রথম দেখা যাবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে ভারত ‘এ’ বনাম অস্ট্রেলিয়া ‘এ’-র তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। এরপর ২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ভারতের হয়ে আনুষ্ঠানিক আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক হবে স্পন্সর কোম্পানিটির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অ্যাপেলো টায়ার্সের লোগো সম্বলিত জার্সি পরে মাঠে নামবে ভারত। এরপর রয়েছে অস্ট্রেলিয়া সফরে সীমিত ওভারের সিরিজ। এজন্য বিসিসিআই আগেভাগেই ভারত ‘এ’ দলের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে।
এদিকে, নিলামে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত বিড না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল উত্তরপ্রদেশ-ভিত্তিক শঙ্ক এয়ার এবং দুবাই-ভিত্তিক ওমনিয়াত। অন্যদিকে অ্যাপোলোর সফল বিড ও বাজারমূল্য নির্ধারণে সহযোগিতা করেছে মুম্বাই-ভিত্তিক ডব্লিউপিপি মিডিয়া।
আরইউ