এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের কাছে হারের পরও দল নিয়ে আশাবাদী প্রধান কোচ জনাথন ট্রট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ৮ রানে হারায় আফগানিস্তানকে। ফলে তিন দলই এখনো প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে টিকে আছে। শ্রীলঙ্কা যদি আফগানিস্তানকে হারায়, তবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা যাবে সুপার ফোরে। তবে আফগানিস্তান জিতলে তখন তিন দলেরই সমান দুটি জয় থাকবে। সে ক্ষেত্রে হিসাব গড়াবে নেট রানরেটে।
পরিস্থিতি অনুযায়ী, সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কাকে কমপক্ষে ৬০ রানের ব্যবধানে হারাতে হবে অথবা ৫০ বল হাতে রেখে জয় পেতে হবে।
প্রেস কনফারেন্সে ট্রট বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে)। আমরা এখানে দুটি ম্যাচ খেলেছি। বৃহস্পতিবার জিততে পারলে গ্রুপের শীর্ষে উঠে যাব। খেলার মতো অনেক কিছু আছে। হতাশা আছে, তবে সেটি কাটিয়ে উঠতে হবে। ক্রিকেটে উত্থান-পতন থাকবে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। যদি ভালোভাবে জিততে পারি, তবে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ড্রেসিং রুমে ফিরে গিয়ে ছেলেদের সঙ্গে আলোচনা করব সামনে কী আছে। আগেও আমরা হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। আবারও পারব বলে বিশ্বাস করি। ’
বাংলাদেশ ম্যাচে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে ট্রট তুলে ধরেন পাওয়ারপ্লের পারফরম্যান্সকে। তিনি বলেন, ‘আমরা ফিল্ডিংয়ে ভালো করতে পারিনি। ওরা শুরুতেই দারুণ খেলেছে। তাদের স্কোর ছিল ৫৯/০, আর আমাদের ২৭/২। এটিই মূল পার্থক্য। তারা ফিল্ডিংয়ে দারুণ করেছে, কিন্তু আমরা সেভাবে পারিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি। ’
পিচ পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন আফগান কোচ, ‘এটা এমন উইকেট ছিল যেখানে আগে ব্যাট করাই ভালো ছিল। আমরা শুরুটা খারাপ করলেও পরে ভালোভাবে ফিরেছিলাম। কিছুটা দুর্ভাগ্যও গেছে আমাদের সঙ্গে—ভিতরের এজ, মিস-হিট। তবে এসব ভুলে গিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে হবে। ’
এদিকে ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। আমার আউট হওয়া পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, তবে আমরা ম্যাচ শেষ করতে পারিনি। এই সময়ে ১৫ বলের মধ্যে ৩০ রান করা সম্ভব, কিন্তু আমরা নিজেরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম এবং শটগুলো ঠিকভাবে খেলতে পারিনি। আমাদের বোলিং ইউনিট সত্যিই দুর্দান্ত কাজ করেছে। প্রথম ১০ ওভারে ৯০ রান হওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশকে ১৬০-এর নিচে রাখতে পেরেছি। তবে কিছু অনাবশ্যক ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার কারণে আমরা সুযোগ নষ্ট করেছি। পরবর্তী ম্যাচ বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ভুল থেকে শিখে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। ’
এমএইচএম