ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লড়াই করে হারল জিম্বাবুয়ে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫
লড়াই করে হারল জিম্বাবুয়ে

ঢাকা: জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সহজ জয়ের সমীকরণ নিয়েই  বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।   হ্যামিল্টনে পুল ‘বি’ এর প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৬২ রানে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হট ফেভারিটের মতোই হয়েছে।

কিন্তু স্কোর বোর্ড কি সব সময় সঠিক তথ্য দেয়? লড়াইটা কিন্তু একতরফা ছিল না। একটা পর্যায়ে জিম্বাবুয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিল অঘটনের। কিন্তু প্রোটিয়া অভিজ্ঞতার কাছেই হারল চিগুম্বুরার দল।

টস জিতে জিম্বাবুয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়।   ডেভিড মিলার এবং জঁ পল ডুমিনির পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড ২৫৬ রানের পার্টনারশিপে প্রোটিয়ারা চার উইকেটে ৩৩৯ রান জমা করে স্কোর বোর্ডে। ৩৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে  ২৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

 স্বপ্নের শুরু জিম্বাবুয়ের
জিম্বাবুয়ের পেসার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা এবং চাতারা ২১ রানের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চাপে ফেলে দেন। দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা পরিস্থতি সামাল দেওয়ার জন্যে দেখে শুনে খেলতে থাকে।

কিন্তু ফাফ ডু প্লেসিস দলীয় ৬৭ রানে এবং অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স ৮৩ রানে ফিরে গেলে বিপদে পড়ে যায়  বিশ্বকাপের হট ফেভারিটরা।

মিলার এবং ডুমিনির রেকর্ড পার্টনারশিপ
পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলার এবং ডুমিনির ১৭৮ বলে ২৫৬ রানের পার্টানারশিপটা পাল্টে দেয় ম্যাচের রং। দুই ব্যাটসম্যান জিম্বাবুয়ের বোলিং অ্যাটাককে একেবারেই তছনছ করে দেয়। ৪০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল চার উইকেটে ১৯৩ রান। শেষ দশ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান যোগ করেনেআরও ১৪৬ রান। মিলার ৯২ বলে  ১৩৮ এবং ডুমিনি ১০০ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

মাসাকাদজার লড়াই
৩৪০ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। হতাশ করেনি নিজের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা মাসাকাদজা। ৩২ রানে প্রথম উইকেট হারালেও মাসাকাদজার ৭৪ বলের ৮০ রানের ইনিংসটা স্বপ্ন দেখাচ্ছিল জিম্বাবুয়েকে। তবে মাসাকাদজা এবং চিবাবার দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রানের পার্টানারশিপ দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের।

কিন্তু দলীয় ১৯১ রানে মাসাকাদজা আউট হয়ে যাওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। দলীয় ২১৪ রানের মাথায় টেইলর ৪০ রান করে আউট হওয়ার পর আর কোন ব্যাটসম্যানই লড়াই করতে পারেনি ফলে অঘটনও ঘটাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

** জয় দিয়ে শুরু করল প্রোটিয়ারা
** হারের পথে জিম্বাবুয়ে
** প্রতিরোধের চেষ্টায় জিম্বাবুয়ে
** দারুণ খেলে ফিরলেন মাসাকাদজা
** ভালো জবাব দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে
** প্রথম উইকেটের পতন জিম্বাবুয়ের
** ব্যাটিংয়ে নেমেছে জিম্বাবুয়ে
** মিলার-ডুমিনির শতকে প্রোটিয়াদের ৩৩৯ রান
** বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছেন ডুমিনি-মিলার
** সাবধানে ব্যাট চালাচ্ছে প্রোটিয়ারা
** প্রোটিয়াদের টপ চার ব্যাটসম্যান সাজঘরে
** প্রোটিয়াদের তিন উইকেটের পতন
** শুরুর চাপে প্রোটিয়ারা, ফিরলেন আমলা
** ডি কককে ফেরালেন চাতারা

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।