ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিশ্বকাপের খেলাগুলো দেশের সাতটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম এমএ আজিজ এবং চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে আধুনিকতার পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হবে। ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ করা হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানায়, আইসিসি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ-২০১৬ উপলক্ষে নির্বাচিত ৭টি স্টেডিয়ামের মেরামত, সংস্কার ও উন্নয়ন জরুরি ভিত্তিতে করা হবে। স্টেডিয়ামের ভাঙা চেয়ারের পাশাপাশি ফ্লাডলাইটের বাল্ব প্রতিস্থাপন করা হবে। স্টেডিয়ামগুলোর মাঠেরও সংস্কারের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানায়, ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১১ এবং আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট-২০১৪ সালে সফলভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ। অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ-২০১৬ সফল করতেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ৭টি স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তোলা হবে। এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারিত ভেন্যুগুলোকে সরেজমিন পরিদর্শন করে আধুনিকায়ন, সংস্কার এবং উন্নয়নের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল(আইসিসি) অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০১৪ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট সফলভাবে আয়োজন করেছি। একইভাবে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজন করবো। সে লক্ষ্যে সাতটি স্টেডিয়ামের সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর