ঢাকা: নাগপুর টেস্টের দুই দিনেই ৩২টি উইকেটের পতন ঘটলো। জয়ের জন্য ৩১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দুই উইকেটে ৩২ রান।
স্কোর: ভারত – ২১৫ ও ১৭৩
দ. অাফ্রিকা – ৭৯ ও ৩২/২
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) আগের দিনের করা দুই উইকেটে ১১ রান নিয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে প্রোটিয়ারা। সফরকারীদের জন্য যে লজ্জাজনক রেকর্ড অপক্ষো করছে তা বোধ ডি ভিলিয়ার্স-আমলারা কল্পনাও করেননি। অশ্বিন-জাদেজার স্পিন ঘূর্ণিতে মাত্র ৭৯ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডোবে দ. আফ্রিকা। এতেই ভারত গড়ে ফেললো প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে কম রানে বেধে ফেলার রেকর্ড। জেপি ডুমিনি সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন।
সফরকারীদের ১০টি উইকেটই তুলে নেন স্পিনাররা। রবিচন্দ্রণ অশ্বিন একাই পাঁচ উইকেট দখল করেন। রবিন্দ্র জাদেজা ৪টি ও অমিত মিশ্র ১টি উইকেট নেন।
ভারতের ৮৩ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটিই প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে কম রানে অলআউট করার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯০ সালে শ্রীলঙ্কাকে ৮২ রানে অলআউট করা ছিল দলটির পূর্বের রেকর্ড। অন্যদিকে, টেস্ট ক্রিকেটে ১১৩ বছর পর প্রোটিয়ারা এত কম রানে অলআউট হলো। সর্বশেষ ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন লজ্জায় পড়েছিল দ. আফ্রিকা।
১৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। প্রথম ইনিংসে করা ২১৫ রানও টপকাতে পারলেন না কোহলি-রোহিত শর্মারা। সর্বোচ্চ ৩৯ রান আসে ওপেনার শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। চেতশ্বর পূজারা ৩১ ও রোহিত ২৩ ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন।
প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রোটিয়ারা যেভাবে ধুঁকছে তাতে প্রথম টেস্টের পুনরাবৃত্তিই যেন হতে যাচ্ছে। ৩২ রান তুলতেই দুই উইকেট হারালো সফরকারীরা। ডিন এলগার ১০ ও অধিনায়ক হাশিম আমলা ৩ রানে অপারাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। উল্লেখ্য, মোহালি টেস্টের লো-স্কোরিং ম্যাচটি তিনদিনেই নিষ্পত্তি হয়। ১০৮ রানের জয় পায় ভারত।
স্টিয়ান ভ্যান জিলকে (৫) রোহিতের ক্যাচে পরিণত করেন প্রথম ইনিংসের পাঁচ উইকেট শিকারি অশ্বিন। আর ইমরান তাহিরকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন লেগ স্পিনার মিশ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৫
আরএম
** লজ্জায় ডুবলো দ.অাফ্রিকা