ফতুল্লা থেকে: ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের প্রথম দিনেই বিদেশি ক্রিকেটারদের খেলা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। আবাহনীর ভারতীয় ক্রিকেটার উদয় কাউলের এনওসি বা অনাপত্তিপত্র নিয়ে আপত্তি তুলেছে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে আবাহনীর মুখপাত্র ইসমাইল হায়দার মল্লিকের মতে কলাবাগানের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে গড়ায় এই মৌসুমের আবাহনী ও কলাবাগানের মধ্যকার নিজেদের প্রথম ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর আগেই কলাবাগান ক্রীড়া চক্র জানতে পারে ভারতের প্রথম লিগে খেলা প্লেয়ার উদয় কাউলের এনওসি নেই। সেই ভিত্তিতে তারা ম্যাচ শুরুর আগেই সকালে ম্যাচ রেফারিকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান বলে দাবি করেন কলাবাগান কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ। তিনি জানান, ‘সকালে ম্যাচ রেফারির কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম উদয়ের এনওসি আছে কী না? আমরা শুনেছি বিসিসিআই ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচের কোন প্লেয়ারকে এসওসি দিচ্ছে না। আমরাও চেষ্টা করেছিলাম ভারত থেকে ক্রিকেটার আনতে। আমাদের অভিযোগ হলো সিসিডিএম’র অনুমতি ছাড়া কী ভাবে একজন প্লেয়ারের রেজিস্ট্রেশন হলো? যদি এনওসি থাকে তাহলে তো সমস্যা নেই, এনওসি দেখাতে অসুবিধা কোথায়? আমিতো আমার ক্রিকেটারদের এনওসি দেখিয়েছি। ম্যাচ রেফারি অভিভাবক তাই তাকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছি। ’
তার এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয় আবাহনীর মুখপাত্র ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কাছে। ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান উদয় কাউলের এনওসির বৈধতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ। কারণ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের কোনো খেলোয়াড় এনওসি ছাড়া খেলতে আসার এখতিয়ারই নেই। তাহলে তারা ওই খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করে দেবে। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের এনওসি আমাদের সিইওর কাছে এসেছে গতকাল। আমরা এনওসি ছাড়া একটা খেলোয়াড় খেলাতেই পারবনা। অভিযোগতো হতেই পারে। এগুলো আসলে ভিত্তিহীন কথাবার্তা। এর কোন ভিত্তি আছে বলে আমার মনে হয় না। ’
এদিকে, আবাহনীর বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় জুবায়েরের বলে ব্যক্তিগত ১০ রানে মেহরাব জুনিয়র ও ১২ রানে আউট হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। কলাবাগানের এই দুই প্লেয়ারের আউট হওয়া নিয়েও সন্দেহের কথা জানান রিয়াজ, ‘মেহরাব ও রাজের আউট দেখে মনে হয়েছে সেটা আসলেই আউট হয়নি। আম্পায়াররা অবশ্য আরও ভাল বুঝবেন। বাইরে থেকে অনেক সময় বোঝা যায় না। তবে আমাদের মতে দুটো কট বিহাইন্ড হয়নি। হয়তো ভুলবশত অথবা ইচ্ছে করেই দুটো আউট দেয়া হয়েছে। খেলা শেষে প্লেয়াররাও আমাদের এসে বলেছে, ব্যাটে লাগেনি কিন্তু আউট দিয়ে দিয়েছে। ’
রিয়াজের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসমাইল হায়দার জানান, ‘আম্পায়ার নিয়েতো শুধু আমাদের না আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলা নিয়েও অভিযোগ আছে। এইতো কদিন আগে বার্সেলোনা-অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের খেলা দেখছিলাম সেখানেও রেফারিং নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বিশ্বের সব জায়গায় একটা দল হেরে গেলে রেফারিং বা আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ উঠে। এটা চিরাচরিত। আর গত দশ বছরের তুলনায় আমাদের আম্পায়ারিং কিন্তু অনেক উন্নত হয়েছে। এখন অনেক আম্পায়ার আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। বাংলাদেশের ম্যাচ হলেও বাংলাদেশের আম্পায়াররা কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে ভুল সিদ্ধান্ত দেয়। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল ২০১৬
এইচএল/এমআর