মিরপুর থেকে: জয়োল্লাস করতে গিয়ে গলাই ভেঙে ফেলেছেন মুক্তার আলী। তাসকিনের করা ওভারপিস বলটি সপাটে লং অনের উপর দিয়ে মেরেই শেখ জামালের ড্রেসিংরুমের দিকে চিৎকার করতে করতে ছুটলেন মুক্তার।
সতীর্থ-কোচের সঙ্গে গলা ধরে ড্রেসিংরুমে সামনে দাঁড়িয়ে উদযাপন হলো আরেকবার। চিৎকার করে গলা ভেঙে ফেলা মুক্তার ম্যাচ শেষে ফিস ফিস আর হাত নাড়িয়ে বোঝালেন শেষ বলের ব্যাপারটা, ‘তাসকিন শেষ ওভারের বলগুলো ব্লকে কিংবা ইয়র্কার মারার চেষ্টা করছিল। ভেবেছিলাম শেষ বলটা ওয়াইড ইয়র্কার মারবে। আমি যেহেতু পেসার, ব্যাপারটা বুঝি। এজন্য একটু এগিয়ে গিয়ে মারার চিন্তায় ছিলাম। তাসকিন করে বসলেন ওভারপিস। দুই পা ফাঁকা করে উঠিয়ে মেরে ড্রেসিংরুমের দিকে ছুটলাম। ’
লং অনের উপর দিয়ে উঠিয়ে মারার পরই মুক্তার বুঝে গিয়েছিলেন বল সীমানা পেরিয়ে যাবে। তার কারণ, শেখ জামালের মাঠে কয়েকদিন ধরে ছক্কা মারার অনুশীলনটা বেশ চলেছে।
তবে দলের সবাইকে নিয়ে নয়। শেখ জামালের ব্যাটিং কোচ মো: সেলিম ছক্কা মারার জন্য বেছে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, মুক্তার আলী, মার্শাল আইয়ুব, শফিউল ইসলাম ও সোহাগ গাজীকে। এই পাঁচজনকে স্লগ ওভারে কাজে লাগাতে চান শেখ জামালের এই কোচ। দুষ্টুমির ছলেই বলছিলেন, শফিউলও দেখবেন ব্যাট করে ম্যাচ জেতাবে। কোচের কথা শুনে শফিউলের মুখেও তখন চওড়া হাসি।
প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে শেখ জামাল। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয়ের পর সোমবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুরে ৪ উইকেটে আবাহনীকে হারিয়েছে তারা। ২৮৮ রান চেজ করে জয় তোলা ধানমন্ডির এই ক্লাবটি এবার চোখ নিশ্চয়ই শিরোপায় রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর