ঢাকা: চলমান আইপিএলের ২৩তম ম্যাচে জয় পেয়েছে সুরেশ রায়নার গুজরাট লায়ন্স। দিল্লির ঘরের মাঠ ফিরোজ শাহ কোটলায় গুজরাট জিতেছে ১ রানের ব্যবধানে।
আগে ব্যাট করে সুরেশ রায়নার গুজরাট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৭২ রান। জবাবে, প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের পরেও ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থামতে হয় দিল্লিকে।
গুজরাটের দুই ওপেনার ডোয়াইন স্মিথ আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১১২ রান তোলেন। স্মিথ ৩০ বলে ৫টি চার তিনটি ছক্কায় করেন ৫৩ রান। আর ম্যাককালাম ৩৬ বলে ৬টি চার আর তিনটি ছক্কার সাহায্যে করেন ৬০ রান।
এছাড়া, দলপতি রায়না ২, দিনেশ কার্তিক ১৯, রবীন্দ্র জাদেজা ৪, ইশান কিষান ২ রান করে বিদায় নেন। ক্যারিবীয় তারকা ডোয়াইন ব্রাভো ৭ ও জেমস ফকনার ১৩ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
দিল্লির হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেন ইমরান তাহির। আর ৪ ওভারে ৩৫ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট পান ক্রিস মরিস। এক ওভারে ৪ রান খরচায় একটি উইকেট নেন জেপি ডুমিনি।
১৭৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় দিল্লি। সাজঘরে দ্রুত ফেরেন কুইন্টন ডি কক (৫), সঞ্জু স্যামসন (১) ও করুন নায়ার (৯)। তিনজনকেই ফিরিয়ে দেন ধবল কুলকার্নি।
উঠতি তারকা রিশব পান্থ ২০ রান করেন। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় চার উইকেটের পতনের পর জুটি গড়েন জেপি ডুমিনি আর ক্রিস মরিস। দারুণ গতিতে ওভার প্রতি ১৩ এর উপরে রান তুলে তারা যোগ করেন ৩৯ বলে ৮৭ রান। ১৮তম ওভারে ডুমিনি ফেরেন ৪৩ বলে ৪৮ রান করে।
তবে, ব্যাট ঝড় তোলা ক্রিস মরিস মাত্র ১৭ বলে নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করে দলকে জয়ের পথে নিতে থাকেন। টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা রান করার পথে তিনি ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। তার এই দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩২ বলে ৪টি চার আর ৮টি ছক্কায়।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দিল্লির প্রয়োজন ছিল ১৪ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস ব্রাভোর করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই চার হাঁকান। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিলে তৃতীয় বলে পবন নেগি এক রান দিয়ে মরিসকে স্ট্রাইকে পাঠান। চতুর্থ বলে মরিস দুই রান নেন। পঞ্চম বলে আবারো ডাবলস নিলে শেষ বলে চার রানের প্রয়োজন হয়। ইনিংসের শেষ বলে মরিস আরেকবার ডাবলস নিলে দিল্লির দলীয় সংগ্রহ ১৭১ রানেই থেমে যায়।
গুজরাটের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিলেও উইকেটশূন্য থাকেন প্রভীন কুমার। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেন কুলকার্নি। ফকনার আর ব্রাভো একটি করে উইকেট লাভ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬
এমআর