মিরুপুর থেকে: ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তার অপরাজিত ৮৬ রানে ২১৩ রানের সংগ্রহ পায় মাশরাফি বিন মর্তুজার কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
রান তাড়া করতে নেমে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় ভিক্টোরিয়া। আর টুর্নামেন্টে তৃতীয় জয়ের দেখা পায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
জয়টি কলাবাগান ক্রীড়া চক্র এমন এক সময়ই পেল যখন তাদের সুপার লিগে খেলা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। তাই সুপার লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ায় আফসোস করলেন এই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার মেহরাব হোসেন জুনিয়র। যা দিনশেষে তাকে অতৃপ্ত রাখে।
সুপার লিগে খেলতে না পারার আফসোস করলেও এদিন সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান থেকে দূরে থাকা নিয়ে তার কোনো কষ্টই দেখা গেল না।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ম্যাচ শেষে মেহরাব জানালেন, ‘সেঞ্চুরি পাইনি তাতে আফসোস নেই। দল জিতেছে এটাই বড় ব্যাপার। কেননা গত ম্যাচ নিয়ে সবাই বলেছে আমরা ব্রাদার্সকে ম্যাচটি উপহার দিয়েছি। আজকের ম্যাচ জেতায় তাই আমি বেশি খুশি। তবে আফসোস একটাই, আর সেটা হলো আমাদের সুপার লিগ একরকম অনিশ্চিত হয়ে গেছে। ’
এসময় প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে সুপার লিগের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরও জানান, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি মনে করি ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য সুপার লিগে খেলাটা অনেক জরুরি। আমি গত বছরও সুপার লিগ খেলতে পারিনি। তাই একটা বড় আফসোস রয়ে গেল। সুপার লিগে খেলতে পারলে লাইম-লাইটে আসা সহজ হয়। কেননা সুপার লিগ সব সময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয় আর সুপার লিগের খেলাটা কাউন্ট করা হয়। ’
এদিকে এবারের প্রিমিয়ার লিগের আসরে কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ভালো দল হলেও তারা প্রতিটি ম্যাচেই ফিনিশিংটা ভালো দিতে পারেনি বলেই সুপার লিগ থেকে ছিটকে গেছেন বলে বিশ্বাস করেন এই কলাবাগান ব্যাটসম্যান। ‘কলাবাগান গত বছরও ভালো খেলতে পারেনি। এবছর টিম ভালো ছিল। সব কিছুই ভালো ছিল। তবে, প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে জেতা ম্যাচও হেরেছি আর ব্রাদার্সকে আমরা একরকম জয় তুলে দিয়ে এসেছি। সব মিলিয়ে ভাগ্য বলেন আর যাই বলেন, আমরা ফিনিশিংটা দিতে পারিনি। যেহেতু সুপার লিগ থেকে ছিটকে গেছি, সেহেতু ম্যানেজমেন্ট চাইছে বাকি তিনটা ম্যাচ যেন সম্মানজনক ভাবে শেষ করতে পারি। ’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের এবারের আসরে এই পর্যন্ত ৮ ম্যাচের ৩টি জয়ে মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশমস্থানে থাকায় কলাবগান ক্রীড়া চক্রের সুপার লিগে উঠা আক্ষরিকভাবেই অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কেননা লিগ পর্যায়ে দলটি পাবে আরও তিনটি ম্যাচ। সেই তিনটির সবক’টিতে জিতলেও উপরের দিকের দলগুলোর সাথে মুখোমুখি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় আর কোনো সুযোগই তাদের হাতে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, ২৬ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর