ঢাকা: পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি পূর্নাঙ্গ সিরিজ আয়োজনের শেষ পর্যায়ে ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। স্বাগতিক হিসেবেই খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের।
পিসিবির কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান নাজাম শেঠি জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি এই সিরিজে খেলতে না আসে তবে, দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় হতাশার খবর ছড়িয়ে পড়বে।
শেঠি এটাও জানান, আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে থাকার কথা ইংল্যান্ডের। বাংলাদেশেও কিছু কিছু সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান আর বাংলাদেশকে এখন একটু ভিন্ন চোখেই দেখছে বাইরের দেশগুলো। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকার পরও যদি ইংল্যান্ড বাংলাদেশ সফর করে, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কেন পাকিস্তানে আসবে না? তাহলে পাকিস্তান নিয়ে আর কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।
নাজাম শেঠি আরও জানান, সীমিত ওভারের কয়েকটি ম্যাচ খেলতে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তানে আসার প্রস্তাব এক রকম মেনেই নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু, পাকিস্তানের লাহোরে বোমা হামলার পর তারা এই সফরে আসতে চাচ্ছে না। ফলে, দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি আয়োজন হুমকির মুখে পড়েছে।
পিসিবি থেকে একটি সূত্র জানায়, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তানের মাটিতে সীমিত ওভারের একটি সিরিজ খেলানোর জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তাতে ক্যারিবীয় বোর্ড থেকে সম্মতি জানালেও পরে নিরাপত্তার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় তারা সিরিজটি খেলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।
২০০৯ সালে পাকিস্তান সফরে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের বাসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এরপর থেকে দেশটিতে বিদেশি কোনো দল খেলতে যায়নি। গত বছর অনেক অনুরোধের পর জিম্বাবুয়ে জাতীয় দল এবং বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল সেখানে খেলতে গিয়েছিল। নিরাপদে সিরিজগুলো সম্পন্ন হলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। পিসিবি ব্যাপারটি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এছাড়া, গুঞ্জন উঠে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারদের লভ্যাংশের অর্থ দেওয়ার লোভ দেখিয়েই পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল পিসিবি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই ২০১৬
এমআরপি