ঢাকা: টেস্ট ক্রিকেটে নিচের সারির দলগুলোকে আরও বেশি সুবিধা দিতে দুই-স্তর টেস্ট নীতির বিপক্ষে অবস্থান করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিসিআই)। এমনটিই জানালেন বোর্ডটির প্রেসিডেন্ট আনুরাগ ঠাকুর।
এর আগে দুই-স্তর টেস্ট নীতির বিরোধীতা করেছিল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট (এসএলসি) ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এই নীতিকে স্বাগতম জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে ঠাকুর বলেন, ‘বিসিসিআই দুই-স্তর নীতির বিপক্ষে অবস্থান করছে। কারণ এর ফলে নিচের সারির দলগুলো তাদের পথ হারিয়ে ফেলবে। আর আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। তাদের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। ’
এডিনবার্গে আইসিসি’র বার্ষরিক সভায় দুই-স্তর টেস্ট নীতির প্রস্তাবনা পেশ করেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন। যেখানে বলা হয় প্রথম স্তরে র্যাকিংয়ের সেরা সাত দল খেলবে। আর পরের স্তরে দুটি সহযোগী দেশ নিয়ে পরের তিনটি দেশ খেলবে।
সে সময়ই এই নীতিটির বিরোধীতা করে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে জানিয়ে এসএলসির মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি প্রতিযোগিতামূল ক্রিকেটে আমরা যত বেশি ক্রিকেট খেলবো ততই ভালো হবে। ’ আর এ ব্যাপারে বিসিবি’র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আনাম বলেছিলেন, ‘আমরা যদি ভালো দলগুলোর বিপক্ষে ওয়ানডে না খেলতাম তবে এতদুর আসতে পারতাম না। সুতরাং টেস্টে যদি আমরা বঞ্চিত থাকি তবে ক্ষতিগ্রস্থ হবো। ’
বাংলাদেশকে সমর্থন করে ঠাকুর আরও বলেন, ‘দুই-স্তর নীতির ফলে নিচের সারির দলগুলো আর্থিকভাবে ও বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলার সামর্থ হারাবে। আমরা এটা চাই না। আমরা ছোট দলগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই এবং সবার সঙ্গেই খেলতে চাই। ’
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভারত সফর করবে বাংলাদেশ। যেখানে ৮ ফেব্রুয়ারি দু’দলের একমাত্র টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
টেস্ট র্যাংকিং (রেটিং পয়েন্ট সহ):
অস্ট্রেলিয়া ১১৮, ভারত ১১২, পাকিস্তান ১১১, ইংল্যান্ড ১০৮, নিউজিল্যান্ড ৯৮, দক্ষিণ আফ্রিকা ৯২, শ্রীলঙ্কা ৮৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৬৫, বাংলাদেশ ৫৭, জিম্বাবুয়ে ৪৮।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ০৩ জুলাই, ২০১৬
এমএমএস