ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

আকিবের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়ার স্বপ্ন রুবেলের

মহিবুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৬
আকিবের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়ার স্বপ্ন রুবেলের ছবি: দীপু মালাকার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল ও হাই পারফরমেন্স (এইচপি) দলের পেস বোলারদের প্রশিক্ষণের জন্য গেল ২৯ জুলাই সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকা এসেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেস বোলার আকিব জাভেদ।   ঢাকায় এসে মোট ৬ দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের ৪ দিন সময় দিয়েছেন এইচপি ক্যাম্পে আর দু’দিন জাতীয় দলকে।

জাতীয় দলকে দেয়া দু’দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে আকিব বোলিং অ্যাকশন নিয়ে টাইগার পেসারদের দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস। যা বিদ্যমান সংকট কাটিয়ে অনাগত দিনগুলোতে তাদের সফলতা এনে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন লাল-সবুজের পেসার রুবেল হোসেন।

রুবেল জানান, ‘বোলিং অ্যাকশনই ছিল ক্লাসের মূল আলোচনা, যেখানে তিনি শিখিয়েছেন কিভাবে রিভার্স সু্‌ইং দিতে হবে, নতুন বলে বল করতে হবে, মিডল ওভারে বল করতে হবে। এরপরে তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে বোলিংয়ের গতি বাড়াতে হবে, ইয়র্কারে আমাদের লক্ষ্যটা কোথায় থাকা উচিত। আমরা যারা জোরে বল করি তাদের জন্য তার টিপস ছিল কিভাবে গতি বাড়াতে হবে, রানআপ কোথা থেকে নিতে হবে, বল কিভাবে ডেলিভারি দিতে হবে এবং কোন জায়গায় এসে বলে আরও বেশি গতি দিতে হবে। ’

শুধু বোলিংয়ে গতিই নয়, আন্তর্জাতিক মানের একজন বোলারের মানসিক দৃঢ়তার উপরও বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন আকিব। শিখিয়েছেন কিভাবে চাপের মধ্যে থেকেও সঠিক ডেলিভারিটি দিয়ে ব্যাটম্যানকে অব্যাহত স্নায়ু চাপে রেখে ক্রিজ ছাড়া করে ম্যাচের ফলাফল নিজেদের করে নিতে হয়। পরামর্শ দিয়েছেন ম্যাচের আগে কি করে সেরা প্রস্তুতিটি নিতে হয়, কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
রুবেল জানান, কঠোর পরিশ্রমের ব্যাপারে একটি টেকনিক্যাল শব্দ ব্যবহার করেছেন স্বল্পকালীন এই পাকিস্তানি কোচ। ‘বুদ্বিদীপ্ত কঠোর পরিশ্রম’ অর্থা‍ৎ দিনের একটি কাজ করার পরে সেটা নিয়ে বিশ্লেষণ করা, একটু সময় নিয়ে ভাবা যে আমি কোথায় আছি, কি করছি আর এই কঠোর পরিশ্রম দিয়ে আমি কতদূরই বা যেতে পারবো।
ম্যাচে বল হাতে মানসিক  দৃঢ়তা প্রয়োগের ব্যাপারে আকিবের পরামর্শ কী ছিল? এমন প্রশ্নে রুবেল জানান, ‘ধরেন আমি ইয়র্কার ডেলিভারি দিতে চাইছি, তখন আমার মনে যেন অন্য কোনো কিছু কাজ না করে। তার কথা হলো শুধু ইয়র্কারই ওই সময় আমার প্রথম ও শেষ লক্ষ্য থাকতে হবে। তা হোক বা না হোক। ’
দলের পাশাপাশি আপনি আকিবের কাছ থেকে ব্যক্তিগতভাবে কী শিখেছেন? উত্তরে রুবেল জানান, দু’একটা জায়গায় আমার ঘাটতি ছিল যেমন গতির কথাই যদি বলি, এক্ষেত্রে আকিব আমাকে শিখিয়েছেন বোলিংয়ের সময় কি করে বাড়তি গতি দিতে হবে। তিনি বলেছেন গতিময় বোলিংয়ের সময় রানআপটা গুরুত্বপূর্ণ। বাম পায়ের ল্যান্ডিংটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ডেলিভারির সময় ভারসাম্য থাকলে তবে গতি আসবে। আর সেটা না থাকলে গতিটা পাওয়া যাবে না। ইয়র্কার ডেলিভারির ক্ষেত্রে আমার ফুট ল্যান্ডিং ও ভারসাম্য যদি ঠিক থাকে তাহলে আমি লক্ষ্যে সফল হবো এবং আমার সীমাবদ্ধতা গুলোকে অতিক্রম করতে পারবো। ’

রুবেলের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যায় আকিবের সঙ্গে দু’দিনের অনুশীলন সেশনেই পেস বোলিংয়ের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তারা বেশ ভালই বুঝেছেন। টাইগার পেসাররা নিজেদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারতেন-এমনটি জানিয়ে রুবেল যোগ করেন, ‘আকিব জাভেদ একজন বিশ্বসেরা বোলার। তাই তার টিপস সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। তাকে আমরা বেশিদিন পাইনি, পেলে ভালো হতো। তার টিপসগুলো মাথায় রেখে মাঠে প্রয়োগ করতে পারলে দারুণ কিছু হবে বলে আশা করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ৮ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।