ঢাকা: ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। স্বাগতিকদের ৭৫ রানে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল মিসবাহ উল হক বাহিনী।
আর এমন শুরুর পর সিরিজ খোয়ানোর শঙ্কায় থাকা পাকিস্তাকে আরও অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলার উপদেশ দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার রশিদ লতিফ।
লর্ডসে জিতলেও ওল্ডট্রাফোর্ডে ৩৩০ রানে হার মানতে হয় পাকিস্তানকে। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় তুলে নেয় ১৪১ রানে। এজবাস্টনের তৃতীয় ম্যাচে জয় পাওয়ায় পিছিয়ে থেকেও ইংলিশরা এখন ২-১ এ লিড ধরে রেখেছে।
পাকিস্তানের সাবেক দলপতি রশিদ লতিফ জানান, আমার দৃষ্টিতে মিসবাহর দল বেশ ভালো শুরু করে। কিন্তু, তারা তৃতীয় ম্যাচে ভালো শুরুর পরও শেষ দিকে কেন জানি বেশি ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। প্রতি দিনের মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই তারা ডিফেন্সিভ খেলা চালিয়ে যায়। এটাই কি তাহলে তাদের হেরে যাওয়ার মূল কারণ?
তৃতীয় টেস্টে ইংলিশদের অল্প রানে আটকে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিয়েছিল। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। উল্টো পাকিস্তানি বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় টার্গেট বেধে দেয় অ্যালিস্টার কুকের দল। আর রান চেজ করে জিততে চেয়েও পারেনি পাকিস্তান।
রশিদ লতিফ জানান, ‘প্রথম ইনিংসে ওপেনার সামি আসলাম আর আজাহার আলি দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। তাদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে ব্যাট করতে দেখেছি। কিন্তা, এটাও লক্ষ্য করেছি মধ্যাহ্ন বিরতির পর তারা কেমন যেন নিজেদের গুটিয়ে নিতে থাকে। দ্বিতীয় সেসনে তাদের পুরোপুরি ভিন্ন মস্তিস্কের ক্রিকেটার মনে হতে থাকে। ’
দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোশাকে সেই ম্যাচে নেমেছিলেন সামি আসলাম। ৮২ রান করার পর তিনি রান আউট হয়ে বিদায় নেন। আর দিনের শেষ বলে ১৩৯ রান করে আজাহার আউট হন।
রশিদ লতিফ আরও যোগ করেন, ‘ইংলিশ কন্ডিশন সব সময়ই কঠিন। স্বাগতিকরা ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। তাদের এতোটুকু সুযোগ দিলেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়। কঠিন কন্ডিশন আর চাপকে জয় করা শিখতে হবে পাকিস্তানের। বোলারদের রিভার্স সুইংগুলো একটু আগেভাগেই ডেলিভারি হয়ে যাচ্ছিল। ব্যাটসম্যানদের ডিফেন্সিভ মাইন্ড থেকে বের হতে হবে। আর সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের পজিটিভ ক্রিকেট খেলতে হবে। ’
সামি আসলাম এবং আজাহার আলি মধ্যাহ্ন বিরতির আগে পর্যন্ত যে পজিটিভ মাইন্ডে খেলছিল, পাকিস্তানের প্রতিটি ক্রিকেটারকে সেভাবেই মাইন্ড সেটআপ করে খেলার উপদেশ দিয়েছেন রশিদ। তার মতে, চাপে পড়লেও সফরকারীদের ডিফেন্সিভ হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। পিছিয়ে থাকা সিরিজের শেষ ম্যাচে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর পরে বলে কোনো কথা নেই বলে মনে করেন সাবেক এই পাকিস্তানি।
সিরিজের শেষ ম্যাচে ওভালে আগামী ১১ আগস্ট মাঠে নামবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ০৯ আগস্ট ২০১৬
এমআরপি