ঢাকা: লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট) ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধের অস্ত্রোপচার করা হবে। ।
ওয়ালেস ২০০৬ সালের ২৭ মার্চ লন্ডনের সেন্ট জন অ্যান্ড সেন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের কাঁধেও অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে অস্ত্রোপচারের সময় মোস্তাফিজের পাশে থাকার জন্য বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেছেন। গত শনিবার (৬ আগস্ট) বিসিবি কার্যালয়ে দেবাশীষ চৌধুরী মোস্তাফিজের অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, অস্ত্রোপচারটি সাধারণ হলেও এর পুনর্বাসন জটিল।
তিনি বলেন, ‘অপারেশনের স্থায়িত্ব খুবই কম। ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে আশা করি অপারেশন হয়ে যাবে। কিন্তু এই অপারেশনের সবচেয়ে ক্রিটিক্যাল বা কমপ্লিকেটেড দিক হচ্ছে পুনর্বাসনের সময়টা। অনেক সময় লাগে মাঠে ফিরতে। আমরা আশা করছি, সব ঠিকঠাক থাকলে ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে মোস্তাফিজ মাঠে ফিরতে পারবে। ’
দেবাশীষ চৌধুরী আরও জানান, ‘অস্ত্রোপচারের পর ওই দিন রাতেই হয়তো হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে মোস্তাফিজকে। তবে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হতে পারে আরও ২-৩ দিন। ’
কাঁধের চোট সারাতে গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ম্যানচেস্টারের বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক লেনার্ড ফ্রাঙ্কের শরণাপন্ন হয়েছিলেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ফ্রাঙ্ক জানিয়েছেন তিনি ২২ আগস্টের আগে মোস্তাফিজের কাঁধের চিকিৎসা চালাতে পারবেন না। ফলে অ্যান্ড্রু ওয়ালেসের শরনাপন্ন হন মোস্তাফিজ।
দ্রুত মোস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রোপচার করিয়ে নিতে ওয়ালেসকেই বেছে নেয় বিসিবি। এর আগে গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) মোস্তাফিজের কাঁধের চোট সারাতে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন শল্য চিকিৎসক টনি কোচার।
সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট এবং রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপে খেলার জন্য মোস্তাফিজ ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। আইপিএল মাতানো এই বোলার প্রথম ম্যাচে নেমেই মাত্র ২৩ রান দিয়ে তুলে নেন চারটি উইকেট। পরের দিন ওভালে সারের বিরুদ্ধে খেলতে গিয়ে কাঁধের পুরণো ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে উঠায় পরের ম্যাচগুলোতে মোস্তাফিজ আর মাঠে নামতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ১০ আগস্ট, ২০১৬
এসকে/এমএমএস