মিরপুর থেকে: ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস ২৪৪ রানে আটকে ফেলার পর দিনের বাকি কাজটা ছিল ব্যাটসম্যানদের। সেটি দারুণভাবেই করছিলেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি।
আক্ষেপ দূরে সরিয়ে রাখলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট হাতে রেখে ১২৮ রানের লিড ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। হাতে আট উইকেট থাকলো অবশ্য ব্যাপারটা দারুণ হতো। ২৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষে তুলেছে তিন উইকেটে ১৫২ রান।
আগামীকাল ব্যাটসম্যানরা ইনিংসটাকে দূরে টেনে নিতে পারলে ম্যাচ জয়ের দারুণ সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের। উইকেট বিবেচনায় ইংল্যান্ডকে আড়াইশ’র বেশি লক্ষ্যমাত্রা দিতে পারলে এগিয়ে থেকেই বোলিং শুরু করতে পারবে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে নতুন বল হাতে মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম যেভাবে বল করেছেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেটি করতে পারলেই তো ম্যাচটা নিজেদের করে নেওয়া সম্ভব। ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করা ইমরুল কায়েস ভরসা হয়ে জ্বলছেন বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের ভিত গড়ে দেন তামিম ইকবাল। ৪০ রান করে যখন জাফর আনসারির শিকার হন দলের রান তখন ৬৫। পরের ওভারেই মুমিনুল হক (১) স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে শঙ্কা জাগে। ইমরুলের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ জুটি বেধে বাংলাদেশকে নিয়ে যান সামনের দিকে। এ জুটি থেকে আসে আরও ৮৬ রান।
বাংলাদেশের সুন্দর একটি দিনের সূচণা মেহেদি হাসান মিরাজের হাত ধরে। আগের দিনের তিন উইকেটে দলীয় ৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামা মঈন আলিকে শুরতেই অফস্পিনের ঘূর্নিতে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। বেন স্টোকসকে সাজঘরে পাঠিয়ে দিনের দ্বিতীয় আঘাত হানেন তাইজুল।
জনি বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে আবার আঘাত হানেন মিরাজ। ইংলিশদের সর্বোচ্চ স্কোরার জো রুটকে (৫৬) সাজঘরে পাঠান তাইজুল। ১৪৪ রানে আট উইকেট ফেলে দিয়ে লিডের স্বপ্ন তখন উজ্জ্বল। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো আদিল রশিদ ও ক্রিস ওকসের নবম উইকেটে ৯৯ রানের জুটি লিড পাইয়ে দেয় ইংলিশদের।
ছয়টি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ঢাকা টেস্টে মিরাজ ঘটান চট্টগ্রাম টেস্টেরই পুনরাবৃত্তি! প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের ছয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় প্রবেশ করেন খুলনার ছেলে মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও একটি উইকেট। সাত উইকেট তুলে অভিষেক টেস্টকে স্মরণীয় করেন ১৯ বছরের এ তরুণ। দ্বিতীয় ইনিংসেও হয়তো মিরাজের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। তবে, তার আগে টাইগার ভক্তরা তাকিয়ে সাকিব-মুশফিক-ইমরুল-সাব্বিরদের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর ২০১৬
এসকে/এমআরপি