মিরপুর থেকে: চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীর শুরুটা হয় বিপর্যয় দিয়ে। ভাইকিংসদের বোলিং তোপে ৫৭ রানেই নেই ৬ উইকেট।
সপ্তম উইকেটে স্যামি-মিরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল এই দুজনই বুঝি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু হঠাৎই পা হরকালেন মিরাজ। ব্যক্তিগত ১০ রানে ফিরলেন রান আউট হয়ে। কিছুটা মন্থর হয়ে আসে রাজশাহীর রানের চাকা। সেট ব্যাটসম্যান আউট হলে যা হয় আর কি!

জয়ের জন্য ঠিক এমন ব্যাটিংয়ের কথাই ভেবেছিলেন অধিনায়ক স্যামি, ‘রান রেটের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম জিততে হলে আমাদের একটি বা দুটি বড় রানের ওভার খেললেই চলবে। ফ্রাঙ্কলিন আউট হয়ে গেল। যাওয়ার সময় আমাকে বলে গেল তুমি হাত খুলে খেল। ওর কথাই মনে হয় আমাকে বদলে দেয়। আমি রক্ষণাত্মক না খেলে খেললাম আক্রমনাত্মক। আর সেটাই আমাদের দলের একটি ভিন্ন চিত্র এনে দেয়। ’
দলের এমন ভঙ্গুর পরিস্থিতির পরেও এমন জয়, নিশ্চয়ই সহজ নয়। এজন্য নিজের ওপরেও রাখতে হয় অগাধ বিশ্বাস। স্যামি জানান, ‘আমি শুধু একটি কথাই বলবো, শেষ দেখে ছাড়ো। মরার আগেই মরে যেওনা। আমি যতক্ষণ ব্যাটিংয়ে থাকি চেষ্টা করি ম্যাচের শেষ বলটি পর্যন্ত খেলতে। এটা কোন ব্যাপার না প্রতিপক্ষ কত রান করেছে। ওভারে যদি ১০ বা ১৫ রানও লাগে সেটাও আমি করতে চেষ্টা করি। ’
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজশাহীর মোকাবেলা করবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি