ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাইগার-কিউইদের বাঁচা-মরার লড়াই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৭
টাইগার-কিউইদের বাঁচা-মরার লড়াই মাশরাফি বিন মর্তুজা ও কেইন উইলিয়ামসন

কার্ডিফ থেকে: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চলতি আসরে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দারুণ একটি সাদৃশ্য বিদ্যমান। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলেছে। একটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আরেকটিতে প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি কোনো বাধা-বিঘ্ন ছাড়া শেষ হলেও একই ভেন্যুতে অজিদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টির বাধায় পণ্ড হয়েছে।

বাংলাদেশের মতো একই ভাগ্যবিড়ম্বনায় পড়েছে নিউজিল্যান্ডও। বার্মিংহামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্ল্যাকক্যাপসদের নিজেদের প্রথম ম্যাচটিতে বিপত্তি বাধিয়ে দেয় বৃষ্টি।

আর দ্বিতীয়টি তারা হেরে গেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে।

ফলে পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের পয়েন্টই সমান। এমন অবস্থায় সেমিফাইনালের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে দুই দলের জন্যই জয়ের বিকল্প নেই। যদিও পয়েন্ট টেবিলে কিউইদের চাইতে এগিয়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে যদি অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডের কাছে হারে এবং বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে তবেই দলটির শেষ চারের আশা টিকে থাকবে। একই সমীকরণ প্রযোজ্য ব্ল্যাক ক্যাপসদের বেলায়ও। তাই ম্যাচটি নিঃসন্দেহে দু’দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেই লড়াইয়েই শুক্রবার (৯ জুন) কার্ডিফে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় মুখোমুখি হবে টাইগার-কিউইরা।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। দু’দলের মোট ৩০ বারের মোকাবেলায় ২১ বারই জয় তুলে নিয়েছে কিউরা। যেখানে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৯ বার। তবে কিউদের বিপক্ষে সাম্প্রতিক জয়ের তরতাজা স্মৃতি আছে বাংলাদেশের। গত ২৪ মে, ডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটের ব্যাবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যা এই ম্যাচে টাইগার দলপতি মাশরাফিকে জয়ের ব্যাপারে কিছুটা হলেও বাড়তি প্রেরণা দিচ্ছে।

“নিউজিল্যন্ডের সঙ্গে আমরা বেশ কিছু ম্যাচ জিতেছি। সবশেষ মাচও জিতেছি। তবে এ ধরনের টুর্নামেন্টে হাইপ থাকে অন্যরকম, চাপ থাকে অন্যরকম। এখানে জিততে পারাটা অন্যরকম আনন্দের হবে। ”

জয়ের আশা মাশরাফি করছেন ঠিকেই। তবে টুর্নামেন্টের ধরন ও কন্ডিশন বিবেচনায় কাজটি সহজ হবে বলে মনে করছেন না তিনি। ‘নিউজিল্যান্ডও ভালো খেলছে। বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততো। এ ধরনের টুর্নামেন্টে, এই কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কাজটা সহজ হবে না। ’

বিগত দিনগুলোতেও অনেক ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য কঠিন জন্য। অনেক শক্ত প্রতিপক্ষও দেখেছে টাইগাররা। কিন্তু নিজেদের সেরা খেলাটি খেলে সকল অসম্ভবকেই তারা সম্ভবে পরিণত করেছে। কিউইদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আরেকবার দলগতভাবে জ্বলে উঠতে পারলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিউই বধের কাজটি নিশ্চয় কঠিন হবে না।

জয়ের এমন তুমুল প্রতিযোগিতার দিনে বসে থাকবে না নিউজিল্যান্ডও। সংবাদ সম্মেলনে দলটির বোলার ট্রেন্ট বোল্ট তেমনই  ইঙ্গিত দিয়েছেন। ‘বাঁচা-মরার ম্যাচ তাই বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হবে। ’

সঙ্গতই বলেছেন বোল্ট। কেননা বল হাতে অ্যাডম মিলনে, তিনি নিজে ও টিম সাউথি আর ব্যাট হাতে মার্টিন গাপটিল, লুক রঞ্চি, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেইলর জ্বলে উঠলে সেই জ্বলনে পুড়ে খাঁক হয়ে যেতে পারে বিশ্বের যে কোন দল।

এদিকে মাঠের লড়াইয়ে দু’দলের বাইরেও এই ম্যাচে আরেকটি প্রতিপক্ষ আছে। সেটি কার্ডিফের বৃষ্টি। বাংলাদেশ দল যেদিন এখানে এসে পৌঁছেছে (৬ জুন) এর পরের দিন থেকেই এখানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। টাইগার-কিউদের বাঁচা-মরার ম্যাচেও বৃষ্টি হানা দিতে পারে। যদিও কার্ডিফের আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে শুক্রবার (৯ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কার্ডিফের বৃষ্টি বলে কথা। বড়ই অবিবেচক!

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এইচএল/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।