ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

তামিমদের হারিয়ে লিড নিলো পাকিস্তান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
তামিমদের হারিয়ে লিড নিলো পাকিস্তান তামিমদের হারিয়ে লিড নিলো পাকিস্তান

তারকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। তামিম-ডু প্লেসিস-মিলার-আমলাদের ২০ রানে হারিয়ে ১-০ তে লিড নিল সরফরাজ-মালিক-বাবর-ওয়াসিমদের পাকিস্তান।

আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান তোলে স্বাগতিক পাকিস্তান। জবাবে, ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে থামে বিশ্ব একাদশের ইনিংস।


 
দীর্ঘ আট বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে আলোচিত মেগা কোনো আন্তর্জাতিক ইভেন্ট শুরু হলো। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেনবিশ্ব একাদশের দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি তামিম ইকবাল। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ও বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে নামে দু’দল।
 
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ফখর জামান এবং বাবর আজম। ব্যক্তিগত ৮ রানে ফখর জামান বিদায় নিলেও বাবর আজম খেলেন ৮৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তার ৫২ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর ২টি ছক্কার মার। আরেক ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ৩৪ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৯ রান।
 
মাঝে দলপতি সরফরাজ আহমেদ ৪ রানে বিদায় নেন। শোয়েব মালিক ২০বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৩৮ রান। ইমাদ ওয়াসিম ৪ বলে দুটি ছক্কায় ১৫ রান এবং ফাহিম আশরাফ ০ রানে অপরাজিত থাকেন।
 
বিশ্ব একাদশের থিসারা পেরেরা দুটি উইকেট নেন। মরনে মরকেল, ইমরান তাহির আর বেন কাটিং একটি করে উইকেট পান। ড্যারেন স্যামি আরগ্রান্ট ইলিয়ট কোনো উইকেট পাননি।
 
এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে পাকিস্তান জাতীয় দলের আট ক্রিকেটার নিজেদের মাটিতে প্রথমবারের মতো খেলার সুযোগ পায়। সর্বশেষ ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তানের ক্রিকেট-ভক্তরা নিজ মাঠে খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত। মাঝে ২০১৫ সালে অবশ্য একবার জিম্বাবুয়ে পাকিস্তানে গিয়ে খেলে এসেছে।
 
১৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে ওপেন করেন তামিম ইকবাল আর হাশিম আমলা। তামিম ১৮ বলে তিনটি চারের সাহায্যে করেন ১৮ রান। আমলার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৬ রান। টিম পেইন ২৫ আর দলপতি ডু প্লেসিস ২৯ রানে সাজঘরে ফেরেন। ব্যক্তিগত ৯ রানে ডেভিড মিলার বিদায় নিলে চাপে পড়ে বিশ্ব একাদশ। গ্রান্ট ইলিয়ট ১৪ রানে বিদায় নিলে আরও বিপাকে পড়ে তামিমদের দলটি।
 
শেষ দিকে থিসারা পেরেরা ১১ বলে ২৭ রান করেন। আর ড্যারেন স্যামি ১৬ বলে তিন ছক্কা আর এক চারে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের সোহেল খান, শাদাব খান আর রুম্মন রইস দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
 
আইসিসি তিনটি ম্যাচকেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির মর্যাদা দিয়েছে। পাকিস্তানিদের তো বটেই, বিশ্ব একাদশের খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানেও যোগ হবে এই তিন ম্যাচের হিসাব। ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিংয়ে ও ওলট-পালট হতে পারে সিরিজের পারফরম্যান্সে।
 
বিশ্ব একাদশ: ফাফ ডু প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, তামিম ইকবাল, ডেভিড মিলার, টিম পেইন, গ্র্যান্ট ইলিয়ট, বেন কাটিং, ড্যারেন স্যামি, ইমরান তাহির, মরনে মরকেল ও থিসারা পেরেরা।
 
পাকিস্তান একাদশ: সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক), ফখর জামান, আহমেদ শেহজাদ, বাবর আজম, শোয়েব মালিক, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাবখান, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, রুম্মন রইস ও সোহেল খান।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।