তাতে, দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায় ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে। ১-০ তে লিড নিয়েছে ফাফ ডু প্লেসিসের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৪৯৬/৩ (১৪৬ ওভার, ডিক্লে.)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩২০/১০ (৮৯.১ ওভার)
দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ২৪৭/৬ (৫৬ ওভার)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৯০/১০ (৩২.৪ ওভার)
ফল: দ. আফ্রিকা ৩৩৩ রানে জয়ী (লিড ১-০)
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৯৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। অভিষেক ইনিংসেই তরুণ ওপেনার মার্কারাম ৯৭ রান করেন। হাশিম আমলা (১৩৭) টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শফিউলের বলে মিরাজের তালুবন্দি হন। মোস্তাফিজের করা দলীয় ১৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিদায় নেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা ডিন এলগার। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের (নবম সেঞ্চুরি) মাথায় মুমিনুলের তালুবন্দি হন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ৭ রান করে কেগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মেরে স্লিপে মার্কারামের তালুবন্দি হন ইমরুল। ইমরুলের পর বিদায় নেন ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা লিটন দাস। দলপতি মুশফিকুর রহিম ৫৭ বলে সাতটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৪ রান। তামিম ফেরেন ৬৭ বলে ছয়টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রান করে। মুমিনুল হক ১৫০ বলে ১২টি বাউন্ডারিতে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বাদশ অর্ধশতক স্পর্শ করেন ১১২ বলে। ব্যক্তিগত ৩০ রান করে ফেরেন সাব্বির রহমান। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদুল্লাহ (৬৬)। মহারাজ তিনটি, রাবাদা দুটি আর মরনে মরকেল দুটি উইকেট পান।
দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে শফিউলের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন এলগার (১৮)। দুর্দান্ত এক স্লোয়ারে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন অভিষিক্ত মার্কারামকে (১৫)। মোস্তাফিজের দারুণ এক কাটারে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন হাশিম আমলা (৪৩)। এরপর ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকা দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ১০১ বলে করেন ৮১ রান। ২০১৩ সালের পর ডু প্লেসিসের উইকেট ছিল মুমিনুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় উইকেট। তৃতীয় উইকেটটি নিতে ফিরিয়ে দেন তেমবা বাভুমাকে (৭১)। এক ওভার পরই মুমিনুল ফিরিয়ে দেন কুইন্টন ডি কককে (৮)। মুমিনুল তিনটি, মোস্তাফিজ দুটি আর শফিউল একটি করে উইকেট পান।
৪২৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে মরনে মরকেলের করা দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তামিম বিদায় নেন বোল্ড হয়ে। ওভারের শেষ বলে মুমিনুল বিদায় নেন এলবির ফাঁদে পড়ে। কোনো রান ওঠার আগেই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায় ঘটে। ইমরুল ফেরেন ডি ককের গ্লাভসে ধরা পড়ে (৩২)। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শেষ দিন ব্যাটিংয়ে নেমে মুশফিক বিদায় নেওয়ার আগে করেন মাত্র ১৬ রান। কেগিসো রাবাদার বলে হাশিম আমলার তালুবন্দি হয়ে আউট হওয়ার আগে চতুর্থ দিনের রানের সাথে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি মুশফিক। দলীয় ৫৫ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬২ রানের মাথায় বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রাবাদার বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি করেন ৯ রান। আবারো রাবাদার আঘাতে বাংলাদেশ ষষ্ঠ উইকেট হারায়। এলবির ফাঁদে ফেলে এই পেসার ফিরিয়ে দেন ৪ রান করা লিটন দাসকে। সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন ৪ রান করা সাব্বির রহমান। কেশব মহারাজের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। ৬৭ রানেই ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ৪ রান করা তাসকিনকে এলবির ফাঁদে ফেলেন কেশব মহারাজ। দলীয় ৭১ রানেই বাংলাদেশ হারায় ৮ উইকেট। রান আউট হয়ে ফেরেন শফিউল। মিরাজ ১৫ রানে অপরাজিত থাকলেও মোস্তাফিজ বোলার কেশব মহারাজের হাতেই ক্যাচ তুলে দেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে মরকেল দুটি, কেগিসো রাবাদা তিনটি আর কেশব মহারাজ চারটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ২ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরপি
