১৫ জানুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য টপকে গেছে মাত্র ২ উইকেটের খরচায়। যেখানে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই লাল-সবুজের আগ্রাসন দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব।
আড়াই বছর পর ক্রিকেটে ফিরে এনামুল হক বিজয় তার ব্যাটিংয়ের শুরুটাই করেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। আর বল হাতে ইনজুরি থেকে ফিরে কাটার স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজুর রহমানের আগ্রাসী বলে ৫টি স্লিপও প্রতিপক্ষের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দিয়েছে। সিনিয়র তামিম, সাকিব ও মাশরাফির আগ্রাসনতো ছিলই।
দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। মাশরাফিদের ছুঁড়ে দেয়া ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাশরাফি, সাকিব, মোস্তাফিজদের বোলিং তোপের সামনে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে গেছে লঙ্কানদের ইনিংস। দিন শেষে এসেছে ১৬৩ রানের জয়। যা দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই টাইগারদের ফাইনালে নিয়ে গেছে। ঠিক এমন মনোভাব নিয়েই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে চাইছেন লাল-সবুজের সিনিয়র ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তামিম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো, যতোগুলো ম্যাচ খেলব প্রতিটা ম্যাচেই এরকম করে খেলার। অনেক সময় সম্ভব হয় না। কখনো হবে না। আমি যেটা সব সময় টার্গেট করি, তা হলো ৩০-৪০ বল খেলে সেট হওয়ার পর যতোটা বড় করা যায়। যে কোনো পজিশনেই আপনি নামেন না কেন প্রথম ২০টা বল সবসময়ই কঠিন। তাই আমি সব মময় চেষ্টা করি ২০-৩০ বল হ্যান্ডেলড ওয়েল, যখন সেট হয়ে যাই চেষ্টা করি ইনিংস যতোটা বড় করা যায়। ’
‘সত্যি কথা আমি নিজে কখনো মনে করি না আমি কিছু করে ফেলেছি। রিল্যাক্সের ভাব এসে যাবে বা অন্য কিছু। শেষ দুই-তিন বছর ভালো করেছি। আমি আমার চেষ্টা সব সময় একরকম রেখেছি। মাইন্ডসেট সব সময় এক। মাইন্ডসেট সব সময় এক থাকুক, প্রসেস অব ব্যাটিং সেম অলওয়েজ। ফাইনালি আমি সেটা করতে পারছি। একটা মিনিটও সম্ভব নয় আপনি রিল্যাক্স হয়ে ব্যাটিং করবেন। ’-যোগ করেন তামিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস