জেসন হোল্ডার, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শাই হোপ, আলজারি জোসেফ ও দেবেন্দ্র বিশু এই পাঁচজনকে কেন্দ্রীয় চুক্তির সব ফরমেটে রাখা হয়েছে। টেস্টে ছয়জন ও ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টির রঙিন পোশাকে পাঁচজন স্থান পেয়েছেন।
জাতীয় দলের বাইরে থেকে বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগে খেলোয়াড়দের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতেই এই ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে ক্যারিবীয় বোর্ড। সবশেষ কাইরন পোলার্ড, সুনীল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল ও ড্যারেন ব্রাভো পাকিস্তান সুপার লিগের জন্য জিম্বাবুয়েতে মার্চে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এড়িয়ে যান। তাদের ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে।
সিনিয়র তারকাদের রাখা হয়নি সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টে। ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলস, ডোয়াইন ব্রাভো, ড্যারেন স্যামি, পোলার্ড, নারাইন, রাসেলদের সবাই চুক্তির বাইরে। অর্থাৎ আইপিএল, বিপিএল, বিগ ব্যাশের মতো আকর্ষণীয় টি-২০ লিগগুলোতে স্বাধীনভাবে খেলতে পারবেন তারা। বলা বাহুল্য, কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকলেও টি-২০ টিমে নিয়মিত মুখ গেইল এখন ওয়ানডে দলেও ফিরেছেন।
চুক্তির এই নতুন সিস্টেম কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরুষ টিমের চুক্তি অফিসিয়াল মেয়াদ গত বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর। যেটি এখন তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। নতুন যুক্ত হওয়া আন্তর্জাতিক ও অঞ্চলভিত্তিক পেশাদার ক্রিকেটাররা এর অংশ নন। জুলাই থেকে চুক্তির আওতায় আসবেন।
নতুন পদ্ধতিতে সব ফরমেটের জন্য সর্বোচ্চ ১১ জন চুক্তিবদ্ধ হবেন। লাল বল ও সাদা বলের সংস্করণ মিলিয়ে তা সর্বোচ্চ ১১-তে উঠতে পারে। চুক্তিতে ক্রিকেটারদের মোট সংখ্যা ধরা হয়েছে ১৮ জন।
অল-ফরমেট চুক্তি: জেসন হোল্ডার, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, শাই হোপ, আলজারি জোসেফ, দেবেন্দ্র বিশু।
রেড-বল কন্ট্রাক্টস: ক্রেইগ ব্রাথওয়েট, রোস্টন চেজ, শেন ডউরিচ, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, মিগুয়েল কামিন্স, জোমেল ওয়ারিকান। এ তালিকায় ডেভেলপমেন্ট বিভাগে আছেন শিমরন হেটমায়ার, কাইরন পাওয়েল, ভিশল সিং।
হোয়াইট-বল কন্ট্রাক্টস: কার্লো ব্রাথওয়েট, অ্যাশলে নার্স, জেসন মোহাম্মদ, এভিন লুইস, রোভম্যান পাওয়েল। ডেভেলপমেন্টে কেসরিক উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম