ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ধান্দাবাজ কলাবাগান, নির্ভার আশরাফুল

মহিবুর রহমান, স্পেশাল করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৮
ধান্দাবাজ কলাবাগান, নির্ভার আশরাফুল মোহাম্মদ আশরাফুল-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কলাবাগান ক্রি‌কেট ক্লাবের কাছে মোহাম্মদ আশরাফুলের পাওনা নেহায়েৎ কম নয়। ১৮ লাখ টাকা। ক্লাব কর্তৃপক্ষের টালবাহানায় প্রি‌মিয়ার লিগ শেষের দেড় মাস পরেও যা তিনি বুঝে পাননি। তবে বাংলাদেশ ক্রি‌কেট বোর্ড পাশে থাকায় পাওনা হাতে পাওয়া নিয়ে তিনি মোটেও উদ্বিগ্ন নন।

কেননা ঢাকা প্রি‌মিয়ার লিগ ক্রি‌কেটে প্লেয়ার বাই চয়েস পদ্ধতির নিয়মানুযায়ী যদি কোনো ক্লাব তার প্লেয়ারকে চুক্তির টাকা পরিশোধ না করে তাহলে সেই প্লেয়ারের পাওনা মিটিয়ে দেয়ার দায়িত্ব নেবে বিসিবি। সেটা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে চাপ দিয়ে হোক কিংবা সমঝোতার মাধ্যমে।

সেজন্যই তিনি এতটা নির্ভার। এ নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘ক্রি‌কেট বোর্ড প্লেয়ার বাই চয়েস করে দিয়েছে তাই আমাদের কিছুই বলার নেই। ক্লাব কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের টাকা না দেয় তাহলে বোর্ড দিবে, তাই টেনশন করছি না। বোর্ড না দিলে টেনশন হতো। '

সোমবার (১৪মে) বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

দেশের ক্রি‌কেটের এমন স্বর্ণ সময়ে প্লেয়ারদের পাওনা টাকা পরিশোধ নিয়ে কলাবাগান ক্লাব কর্তৃপক্ষের গরিমসিতে তাদের ধান্দাবাজ বলে আখ্যা দিলেন  বাংলাদেশ ক্রি‌কেটের সর্বকনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।

'ক্লাব অফিসিয়ালদের যদি এমন ধান্দাবাজি মনোভাব থাকে যে, হারলে টাকা দিব না এটা খুবই দুঃখজনক। এবং আমাদের ক্রি‌কেটের উন্নতির পরিপন্থি। ’-যোগ করেন তিনি।

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের চলতি আসর শেষে হয়েছে দেড় মাসেরও বেশি হতে চলছে। কিন্তু তারপরেও পারিশ্রমিকের একটি টাকাও বুঝে পাননি কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের চার ক্রিকেটার।

এদর মধ্যে মোহামাম্দ আশরাফুলও। তবে তিনি একাই নন। বঞ্চিতদের এই তালিকা আরও আছেন একই ক্লাবের সঞ্জিত সাহা দ্বীপ, আবু বকর অনীক ও জসীম উদ্দিন।

প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ নিয়ে গেল মৌসুম থেকেই কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সদ্য সমাপ্ত লিগ শুরুর আগে তিন কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার নিয়মও বেঁধে দেয় আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। সেই নিয়ম অনুযায়ী লিগ শুরুর আগে ৫০ ভাগ, চলাকালীন সময়ে ২৫ ভাগ করে এবং লিগ শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ঠ ২৫ শতাংশ টাকা পরিশোধ করার কথা।

কিন্তু নিয়মের ধারই ধারছেন না কলাবাগান কর্তৃপক্ষ। ক্লাবটির স্বেচ্ছাচারিতার শেষ এখানেই নয়। অভিযোগ আছে লিগ থেকে কলাবাগানের অবনমনে চলে যাওয়ার শোকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত পারিশ্রমিকের একটা অংশ কেটে নতুন করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেছে।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ গ্রেডের আশরাফুলের পাওনা ১৮ লাখ টাকা। লিগের শুরুতে প্রাপ্ত টাকার ৫০ শতাংশ বিসিবিতে জমা রেখেছিলেন। পরে টাকা তুলতে গেলে জানতে পারেন ক্লাব অবনমনে চলে যাওয়ায় তার পারিশ্রমিক কমে এসেছে।  পরিবর্তিত পারিশ্রমিক পাবেন ১৫ লাখ টাকা।

আশরাফুলসহ তিনজন কোনো টাকা না পেলেও অন্যরা ৫০ শতাংশ পেয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ বাকিই রয়ে গেছে। তাই রোববার (১৩ মে) লিখিত অভিযোগ জানাতে বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন মুক্তার আলী, তাসামুল হক, নাবিল সামাদ, জসিমউদ্দিনসহ কলাবাগানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তারা বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

তা‌দের  লিখিত অ‌ভি‌যোগ হাতে পাওয়ারে পর কলাবাগান ক্লাব কর্তৃপ‌ক্ষের সা‌থে আ‌লোচনা ক‌রে  ব‌ঞ্চিত‌দের পাওনা মি‌টি‌য়ে দেয়ার আশ্বাস দি‌য়ে‌ছেন  বি‌সি‌বি সিইও নিজামউ‌দ্দিন চৌধুরী সুজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ১৪ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।