বার্মিংহামে এজবাস্টনে ক্রিস ওকসের বলে এক রান নিয়ে টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন স্মিথ। এই সেঞ্চুরি করতে তার লেগেছে ১১৮ ইনিংস।
কোহলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দিনে স্বদেশী ওয়ালি হ্যামন্ড ও ডেভিড গাওয়ারের পাশে স্থান করে নিয়েছেন স্মিথ। অ্যাশেজে ৯টি সেঞ্চুরি করে হ্যামন্ড ও গাওয়ারকে ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। তবে অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটি ধরে রেখেছেন ব্রাডম্যান। ১৯ সেঞ্চুরি করে সবার শীর্ষে আছেন তিনি। এর পরের স্থানে জ্যাক হবস (১২) ও স্টিভ ওয়াহ (১০)।
স্মিথের সেঞ্চুরিটি এসেছে এমন এক পর্যায়ে যখন স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকসের গতির সামনে ধুঁকছে অস্ট্রেলিয়া। টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে ১২২ রানে ৮ উইকেট হারানো অজিদের উদ্ধার করেছে তার ব্যাট। অষ্টম উইকেট পিটার সিডলের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। দলীয় ২১০ রানে সিডল ব্যক্তিগত ৪৪ রানের মাথায় ফিরলে শেষ উইকেটে নাথান লায়নের সঙ্গে করেন ৭৮ রানের জুটি। শেষ পযর্ন্ত প্রথম ইনিংসে অজিদের ২৮৪ রানে নিয়ে গিয়ে থামেন স্মিথ।
২১৯ বলে ১৪৪ রানে ব্রডের বলে স্মিথ বোল্ড হলে শেষ হয়ে যায় অজিদের প্রথম ইনিংস। তার ইংলিশ বোলারদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬ চার ও ২ ছক্কায়।
অথচ এর আগে অ্যাশেজের প্রথম দিনটা ছিল ব্রড ও ওকসের। দু’জনে মিলে শুরুতে তুলে নেন ৭ উইকেট। কিন্তু প্রথম দিনে ব্রডের ৫ উইকেটের কীর্তি মলিন হয়ে গেল স্মিথের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং জাদুর সামনে।
বোলিংয়ের পর ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়েও রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে। অবশ্য দুই ওপেনারকে এখনও কঠিন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয়নি। বিনা উইকেটে ২ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০ রান তুলে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। শুক্রবার (০২) দ্বিতীয় দিন শুরু করবেন দুই অপরাজিত ব্যাটম্যান রোরি বার্নস (৪) ও জেসন রয় (৬)। প্রথম ইনিংসে ইংলিশরা পিছিয়ে আছে ২৭৪ রানে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
ইউবি