ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

তামিমদের হারিয়ে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন করাচি কিংস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
তামিমদের হারিয়ে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন করাচি কিংস ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে লাহোর কালান্দার্সকে ৫ উইকেটের সহজ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো করাচি কিংস। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি তামিম-হাফিজদের লাহোর।

অন্যদিকে বোলারদের দাপটের পর বাবর আজমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় করাচি।

পিএসএলের পঞ্চম সংস্করণে প্রথমবারের মতো আসরটির ফাইনালে ওঠে লাহোর ও করাচি দুদলই। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা লাহোর নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের মামুলি স্কোর সংগ্রহ করে। জবাবে বাবরের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় করাচি।

করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ১৩৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় করাচি। সামিত প্যাটেলের বলে ব্যক্তিগত ১৩ করে ফেরেন শারজিল খান। ওয়ান ডাউনে নামা অ্যালেক্স হেলসও (১১) নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি। তবে উইকেটে অবিচল থাকেন পুরো টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলা বাবর। তৃতীয় উইকেট জুটিতে চ্যাডউইক ওয়ালটনের সঙ্গে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে মূলত জয়ের ভীত গড়ে দেন পাকিস্তান জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।

ওয়ালটন ২৭ বলে ২২ রানে দিলবার হুসাইনের বলে আউট হলেও অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর। তিনি ৪৯ বলে ৭টি চারে ৬৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।

লাহোর বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ও দিলবার ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া সামিত একটি উইকেট দখল করেন।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ঠিক টি-টোয়েন্টি স্টাইলে করতে পারেনি কালান্দার্স। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ফখর জামানের উদ্বোধনী জুটি লম্বা হলেও ব্যাটিং ছিল ধীর গতির। এই জুটি ১০.১ ওভারে মাত্র ৬৮ রান তুলতে পারে।

দলীয় ১১তম ওভারের ধীরে চলো নীতিতে ব্যাটিং করা তামিম ৩৮ বলে ব্যক্তিগত ৩৫ করে উমাইদ আসিফের বলে ইফতিখার আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে মাঠে ছাড়েন। টাইগার এই ব্যাটসম্যান নিজের ইনিংসে ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। একই ওভারে আরেক ওপেনার ফখরও ফেরেন তিনি ২৪ বলে ৪টি চারে ২৭ করেন।

এই জুটির পরে অবশ্য আর কেউই সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। করাচি বোলারদের সামনে অনেকটা অসহায় আত্মসমর্পণ করেন তারা। ফলে দলীয় দেড়শ রানের স্কোর করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।

করাচি বোলারদের মধ্যে দারুণ বল করা ওয়াকাস মাকসুদ, আরশাদ ইকবাল ও উমাইদ আসিফ ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম একটি উইকেট দখল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।