ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইয়াসির-আকবরের পর বোলারদের দাপটে জিতল ঢাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
ইয়াসির-আকবরের পর বোলারদের দাপটে জিতল ঢাকা ছবি: শোয়েব মিথুন

ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির আলী ও আকবর আলী। পরে বল হাতে চমক দেখালেন মুক্তার আলী ও শফিকুল ইসলাম।

আর তাতে ভর করে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে ২৫ রানের জয় পেল বেক্সিমকো ঢাকা।

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বাদশ ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে ঢাকা। জবাবে পাঁচ বল বাকি থাকতেই ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ১৫ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে রাজশাহী। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। এরপর যথাক্রমে ৬ ও ১ রান করে বিদায় নেন আনিসুল ইসলাম ইমন ও মোহাম্মদ আশরাফুল।

শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠতে রনি তালুকদার ও ফজলে মাহমুদ ৬৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন। কিন্তু দলীয় ৮২ রানে মুক্তার আলীর বলে রনি বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি। বিদায়ের আগে ২৪ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে রনি, যেখানে ছিল ১টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই মেহেদি হাসানের (১) উইকেট হারায় রাজশাহী।

রাজশাহীর শেষ ভরসা ফজলে মাহমুদ ফিফটি পার করে সঠিক পথেই ছিলেন। কিন্তু মুক্তার আলীর বলে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তিনিও। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস, যা ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো। এরপর বলার মতো রান পাননি রাজশাহীর আর কেউই।

বল হাতে মুক্তার আলী ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করলেও উইকেট তুলে নিয়েছে ৪টি। ৩ উইকেট নিয়েছেন শফিকুল। পেসার রুবেল হোসেন নিয়েছেন ২ উইকেট, তবে ৩.১ ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ১৫ রান। বাকি উইকেট রবিউল ইসলাম রবির।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ওপেনার নাঈম হাসানের (১) উইকেট হারিয়ে বসে দলীয় ৩ রানেই। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ততক্ষণে খোলসে ঢুকে পড়েছেন। কিন্তু মুশফিকুর রহিম এসে রানের চাকা সচল করেন। ঢাকার অধিনায়ক খেলেন ২৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। কিন্তু মোহাম্মদ নাঈম ১৯ বলে ৯ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে বিদায় নেন। টিকতে পারেননি তাসনজিদ হাসানও।

দলকে ৬৪ রানে রেখে মুশফিক বিদায় নেওয়ার পর হাল ধরেন ইয়াসির ও আকবর জুটি। দুজনে মিলে যোগ করেন ১০০ রান। দলের পঞ্চম উইকেট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৩৯ বল স্থায়ী ইনিংসটি তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজিয়েছেন। আর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়া আকবর খেলেছেন ২৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস, যেখানে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল।

বল হাতে রাজশাহীর মুকিদুল পেয়েছেন ২ উইকেট। আর ১টি করে উইকেট গেছে মেহেদি হাসান, আরাফাত সানি ও ফরহাদ রেজার দখলে।

ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকার ইয়াসির আলী।

এই নিয়ে ৫টি করে ম্যাচ খেলে ২টি করে জয় পেয়েছে ঢাকা ও রাজশাহী। তবে গড় রান রেটের ব্যবধানে পয়েন্ট তালিকার তিনে আছে রাজশাহী, চারে ঢাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।