ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরি ও অসংখ্য রেকর্ডে চালকের আসনে কিউইরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরি ও অসংখ্য রেকর্ডে চালকের আসনে কিউইরা কেন উইলিয়ামসন

বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে টপ ফোর’এর মধ্যে কেন উইলিয়ামসন অনেকটা নীরব ঘাতক। বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ বা জো রুট যতটা আলোতে থাকেন, নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সেভাবে ফোকাস পান না।

তবে নিজের কাজটা ঠিকই চালিয়ে যান তিনি। এবার ক্রাইস্টচার্চে ডাবল সেঞ্চুরি করে রেকর্ডের মেলা বসিয়ে দিয়েছেন কেন। আর তার অন্যবদ্য ব্যাটিংয়েই তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে চালকের আসনে স্বাগতিকরা।

হাগলি ওভালে মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। উইলিয়ামসনের ডাবলের পাশাপাশি সেঞ্চুরি পেয়েছেন হেনরি নিকোলস ও ড্যারেল মিচেচ। জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৮ রানের এক উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। যেখানে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ২৯৭ রান করেছিল। আর দিন শেষে কিউইরা ৩৫৪ রানে এগিয়ে রয়েছে।

পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় ৩ রানে শান মাসুদকে হারায়। প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া কাইল জেমিসন মাসুদকে শূন্য রানে মাঠ ছাড়া করান। আর অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আবিদ আলী (৭) ও নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ আব্বাস (১)।

এর আগে ১১ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করে নিউজিল্যান্ড। যেখানে উইলিয়ামসন ১১২ ও নিকোলস ৮৯ রানে উইকেটে নামেন। এরপর এই জুটি পাকিস্তান বোলারদের ঘাম ঝরিয়ে ছাড়েন। চতুর্থ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ৩৬৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বিছিন্ন হন তারা। আবার দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটিও এটি। আর নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজেরও এটি দু’দলের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এদিন অধিনায়ক উইলিয়ামসন যৌথভাবে ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে কিউইদের রেকর্ড ৪টি ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন। এছাড়া নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি (ম্যাককালাম ও স্টিভেন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে)।

এর বাইরে টেস্টে ৭ হাজার টেস্ট রানের মাইলফলকেও পৌঁছান উইলিয়ামসন। এই কীর্তি গড়তে তিনি লারা, পন্টিং, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের চেয়েও ছিলেন দ্রুততম।

এই টেস্টে উইলিয়ামসন শুরু করেছিলেন ৬৮৭৭ রান নিয়ে। আগের দুই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি করা এই তারকা ৭ হাজারি ক্লাবে ঢুকতে মাত্র এক ইনিংসই সময় নিলেন।

বর্তমানে ৭১১৫ রানে থাকা উইলিয়ামসন আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২৩৮ রানের মাথায়।  ফাহিম আশরাফের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি ৩৬৪ বল মোকাবিলায় ২৮টি চার হাঁকিয়েছেন। এর আগের দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫১ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২৯ রান।

৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানকে খেলতে হয়েছে ৮৩ ম্যাচ ও ১৪৪ ইনিংস। বিশ্বের দ্রুততম ৭ হাজার রান করাদের তালিকায় উইলিয়ামসনের অবস্থান ১৩তম। তবে মাত্র ১২৬ ইনিংসে ৭ হাজার রান করে সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার স্মিথ।

এদিন বিশ্বের ৫৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭ হাজার রান করার পথে উইলিয়ামসন পেছনে ফেলেছেন ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিংদের। এই কীর্তি স্পর্শ করতে লারাকে খেলতে হয়েছে ১৪৬ ইনিংস, পন্টিং খেলেছেন ১৪৫ ইনিংস। এছাড়া মাইকেল ক্লার্ক ১৪৯, অ্যালিস্টার কুক ১৫১, রস টেইলর ১৬৯ ইনিংসে করেছেন ৭ হাজার রান।

উইলিয়ামসনের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়া নিকোলস ২৯১ বলে ১৮টি চার ও একটি ছক্কায় ১৫৭ রানে আউট হন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। এছাড়া ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা ড্যারেল মিচেল অভিষেক সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১১২ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় খেলেন ১০২ রান। আর ৩০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন জেমিসন।

পাকিস্তান বোলারদের মধ্যে শাহীন শাহ আফ্রিদি, আব্বাস ও ফাহিম আশরাফ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।