ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১২ সফর ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নানা আয়োজনে সিভাসু দিবস উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৭, আগস্ট ৭, ২০২৫
নানা আয়োজনে সিভাসু দিবস উদযাপন

চট্টগ্রাম: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা আর নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’। ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে সরকার তৎকালীন চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে।

তৎপূর্বে ১৯৯৫-৯৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়।  

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচি।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই ও কর্মচারীরা অংশ নেন।  

সকাল ১০টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ’ অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে সমারম্ভ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম।  

শিক্ষা উপদেষ্টা নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তোমরা অনেক স্বাধীনতা ভোগ করবে। কিন্তু দায়িত্বশীলতার সাথে সেই স্বাধীনতা ভোগ করতে হবে। পিতামাতারা অনেক কষ্ট করে তোমাদের লালন করেছেন। তাঁরা তোমাদের একটা পর্যায়ে নিয়ে আসছেন। দেশের একটা উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছো। তাই আমি মনে করি পিতামাতার স্বপ্ন পূরণে তোমরা যথাযথভাবে চেষ্টা করবে। পড়াশোনা করবে। নিজেদের বিবেক দ্বারা পরিচালিত হবে। তোমরা রাজনীতি সচেতন হবে। অবশ্যই আমি সেটা চাই। তবে রাজনীতির ক্ষেত্রে যে নেতিবাচক প্রবণতাগুলো রয়েছে, সেগুলো পরিহার করবে। রাজনৈতিক দল যেন তোমাদের পরিচালিত না করে। তোমরা নিজেরা যেন রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে পরিচালনা করতে পারো, সেভাবেই নিজেদের গড়ে তুলবে।

ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেসব বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে, তার সবই অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং এইগুলোর চাহিদা বিশ্বব্যাপী। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের সরাসরি দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখার সুযোগ রয়েছে। তোমরা নিজেদের সবসময় জ্ঞানচর্চা ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখবে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন থেকে নিজেদের বিরত রাখবে। তাহলে তোমরা জীবনে সফলকাম হবে।

সিভাসু’র পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফেরদৌসী আকতার, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শেখ আহমাদ আল নাহিদ ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর গৌতম কুমার দেবনাথ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।  

একই ভেন্যুতে বিকেল ৪টায় সিভাসুর উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন সিভাসুর প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ। বিশেষ আলোচক ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিম, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. শফিক হায়দার চৌধুরী, সিভাসুর প্রফেসর ড. একেএম সাইফুদ্দীন, প্রফেসর ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, ডা. মো. ফরহাদ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব সাহেদুল আলম কাদেরীর পরিবারের সদস্য মোর্শেদুল আলম কাদেরী।     

দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল বৃক্ষরোপণ, ফ্রি ভেটেরিনারি ক্যাম্প, রক্তদান ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ফ্রি ফিশ কন্সালটেশন ক্যাম্প, হেলদি লাইফ ক্যাম্প, ওয়ান হেলথ ইয়ং ভয়েস এবং আইভিএসএ-এর কার্যক্রম, স্বাস্থ্য বিষয়ক ফ্রি ক্যাম্প, প্রীতিভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।