চট্টগ্রাম: সী-কম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিরুল হক বলেছেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) নির্বাচনে জয়ী হলে চেম্বারের মাধ্যমে আমরা সরকারের ওপর ইতিবাচক চাপ সৃষ্টি করবো, যাতে বে-টার্মিনাল প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়।
বে-টার্মিনাল হলে গভীর সমুদ্রবন্দরে বড় জাহাজ সরাসরি ভিড়তে পারবে, আন্তর্জাতিক ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আমিরুল হক ‘ওয়ান টিম’র টিম লিডার হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
‘নির্বাচিত হলে ওয়ান টিম কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি করবে, যাতে ব্যবসায়ীরা সরাসরি তাদের সমস্যার কথা বলতে পারেন। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে সচেষ্ট থাকবো আমরা। কারণ ডিজিটাল প্রসেসিং সিস্টেম চালু হলে ব্যবসায়ীরা দ্রুত সেবা পাবেন এবং দুর্নীতি কমে যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সেবা আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার বিকল্প নেই’।
ব্যবসায়ী আমিরুল হক বলেন, চট্টগ্রাম চেম্বার ব্যবসায়ীদের ঠিকানা। ওয়ান টিম গ্রুপ চায়, চেম্বারের নির্বাচনি প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। কমিটি গঠন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যোগ্যতা, সততা এবং অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করতে হবে। দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। অথচ অবকাঠামো উন্নয়ন, নীতি প্রণয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বঞ্চিত। শুধু চট্টগ্রামেই মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ স্কেল বসানো হয়েছে, একটি গাড়ি কত টন পণ্য পরিবহন করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাব, রাজস্ব নীতি, শিল্পনীতি, ট্রেড পলিসি সহ অনেক ক্ষেত্রে চেম্বারকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য, তথ্য-উপাত্তভিত্তিক গবেষণা পরিচালনা করা এবং সে অনুযায়ী সরকারকে সহযোগিতা করা।
চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সুযোগ সৃষ্টি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ কার্যকর করা, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্মেলন আয়োজন করা, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে চট্টগ্রাম হবে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
আমিরুল হকের মতে, চট্টগ্রামে অবকাঠামো উন্নয়ন, লজিস্টিক সুবিধা ও প্রযুক্তির ব্যবহার সঠিকভাবে হলে এখানে বিমসটেক এবং বিসিআইএম করিডরের মাধ্যমে আঞ্চলিক ট্রেড হাব গড়ে উঠবে। বন্দর আধুনিকায়ন করা, রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নত করা এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ নীতি তৈরি করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই চেম্বারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ এবং প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। যাতে ব্যবসায়ীরা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের সুফল বুঝতে পারেন। সবুজ জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তা আনার চেষ্টা করবো। আমি নেতৃত্বে এলে সিদ্ধান্ত নেব ব্যবসায়ী সমাজের বৃহত্তর স্বার্থ সামনে রেখে। ব্যবসায়ীরা আমাকে বিশ্বাস করেন, আমি সেই বিশ্বাস অটুট রাখতে চাই।
এআর/এসি/টিসি