চট্টগ্রাম: খাবারে অননুমোদিত কেওড়া জল, মোড়কে মেয়াদ না থাকা ও জুস তৈরি জন্য বাসি ফল রাখায় তিনটি প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরের জিইসি মোড় সিডিএ অ্যাভিনিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়।
মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, কাচ্চি ডাউনের তদারকিতে আমরা দেখেছি কেমিক্যাল ব্যবহার করেছে এবং পুরোনো খাবার রেখেছে।
ক্যান্ডিতে আমরা কিছুটা ইমপ্রুভমেন্ট দেখেছি। কিছুটা অসংগতি রয়েছে অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে। ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কেএফসিতে ফ্রাই করছে পামওয়েল দিয়ে, এতে ফ্যাটের পরিমাণ একটু বেশি। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এখানে খায়। আমরা যাচাই করে দেখেছি সাধারণ মানুষ এটা জানে না। বাসায় অলিভ অয়েল যারা খায় তারা এখানে খাবার খেতে আসে। আমরা এটা ক্রেতাদের জানাতে একটা ঘোষণা দিয়ে রাখতে বলেছি ‘পামওয়েলে ফ্রাই করা হচ্ছে’। মেওনিজ বড় প্যাকেট থেকে খুলে ছোট প্যাকেট করছে। মূল্য রাখছে ২৯ টাকা। কিন্তু মেয়াদ দিচ্ছে না। কত দিন আগের? মূল প্যাকেট থেকে যখন নিজেরা ছোট প্যাকেট করছে কত দিন আগে করা হলো কিছু দিন পর নিজেরাই ভুলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মোড়কজাত বিধিমালা অনুযায়ী নতুন মোড়ক হলে অবশ্যই মেয়াদ দিতে হবে। আগের প্যাকেটের ব্যাচ নম্বরসহ মূল্য, মেয়াদ ইত্যাদি থাকতে হবে। মেওনিজে মেয়াদ না দেওয়ায় ২০ হাজার টাকা সতর্কতামূলক জরিমানা করা হয়েছে। তাদের অনুরোধ করেছি যাতে ভবিষ্যতে এটা না করে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অভিযানের ফলে ইমপ্রুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। তারা যদি আরেকটু এগিয়ে আসে তাহলে আরেকটু ভালো করবে। আমাদের তদারকি থাকবে। আজকে যা দেখলাম পুনরায় এসে তা আবার যাচাই করে দেখবো। কারখানায় অভিযান চালিয়েছি। খাবারের কেওড়া জল লেখা নেই। সত্যিই কেওড়া জল বা গোলাপের জল হলে ব্যবহার করতে পারতেন। এটা পুরোটাই কেমিক্যাল। নিরাপদ খাদ্য আইনে এটা অননুমোদিত। বাজারে অনেক কিছু থাকবে। যেটা খাবারের নয় সেটি খাবারের প্রতিষ্ঠানে কেন আসবে?
জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ।
এআর/টিসি