চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ ১২ মাসের কর্মপরিকল্পনা হিসেবে ৩৩ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্যানেলটির সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি এসব ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারে বলা হয়, আবাসন সংকট নিরসন ও উন্নয়ন, শাটলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন, নিরাপদ বাস সার্ভিস, সুলভ মূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিতকরণ, সেশনজট নিরসন, কটেজ-মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সুবিধা বৃদ্ধি, নিয়মিত চাকসু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবের চেতনা ধারণ-এসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি ও নারীবান্ধব কমনরুম, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, গবেষণায় উৎসাহ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীবান্ধব লাইব্রেরি, মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা, নিরাপদ ও গ্রিন ক্যাম্পাস, হল-ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক সমস্যা সমাধান, প্রেয়ার রুম উন্নয়ন, সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ ও সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে।
ইশতেহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে-অটোমেশন পদ্ধতি চালু, উচ্চশিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও শিক্ষাবৃত্তি, টিএসসি ও সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম নির্মাণ, শরীরচর্চার পর্যাপ্ত সুযোগ সৃষ্টি, লিগ্যাল এইড সেল গঠন, অফিসিয়াল ই-মেইল চালু, অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক জোরদার, মেন্টাল হেলথ কাউন্সিল এবং অন-ক্যাম্পাস জব কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৩৩ দফা ইশতেহারের মধ্যে ৯টি ফোকাস পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। এগুলো হলো—আবাসন, যাতায়াত, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, নিরাপদ ও গ্রিন ক্যাম্পাস, সেশনজট, অটোমেশন, শিক্ষা-গবেষণা ও ক্যারিয়ার, নারীবান্ধব ক্যাম্পাস এবং ওয়েলফেয়ার কার্যক্রম।
ইশতেহার ঘোষণার সময় ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম রনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা ও প্রত্যাশাগুলো ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করেছি। ১২ মাসে ৩৩টি দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করব। তবে ৯টি ফোকাস পয়েন্টকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেব আমরা।
এমএ/টিসি