শিলং থেকে: ভারতের শিলংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অনুশীলনের সময় দুই দফায় বদলে গিয়ে নির্ধারিত হলো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। ঘাসের মাঠে খেলা হলেও বাংলাদেশকে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রো টার্ফের মাঠে।
সফরের শুরুর দিন থেকে অসহযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে এই প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে ম্যাচে ভালো ফলের জন্য প্রস্তুত হওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
শিলংয়ে প্রথমদিনের অনুশীলনের জন্য বাংলাদেশকে ভেনু্য হিসেবে দেওয়া হয়েছিল নেহু ইউনিভার্সিটি ফুটবল গ্রাউন্ড। তবে সেখানে জাতীয় দলের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা ছিল না। এবং জাতীয় দলের অনুশীলনের জন্য সেই মাঠ উপযুক্তও ছিল না। এই মাঠ নিয়ে অভিযোগ দেওয়া হলে আজ পরিবর্তন করে দেওয়া হয় বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের ভেনু্য।
জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের পাশে অ্যাস্ট্রো টার্ফে অনুশীলন ভেনু্য দেওয়া হয় জামাল ভুঁইয়াদের। ঘাসের মাঠে খেলা হলেও বাংলাদেশকে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়েছে অ্যাস্ট্রোটার্ফের মাঠে। এখানেই শেষ নয় বাংলাদেশের অনুশীলনের সময় বদলানো হয়েছে দফায় দফায়। দুই বার সময় পরিবর্তন করে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনের সময় দেওয়া হয়। অ্যাস্ট্রো টার্ফে খেলোয়াড়দের ইনজুরির ঝুঁকি থাকে অনেক বেশি। ম্যাচের আগে এই ধরনের মাঠে বাংলাদেশকে অনুশীলন করতে দেওয়ায় অভিযোগ রয়েছে সকলেরই। দলের ফুটবলার সাদ উদ্দিনের কাছে জানতে চাওয়া হয় অনুশীলন মাঠ নিয়ে বিড়ম্বনা কতটা উপভোগ করছেন। উপভোগ করছেন শুনে কিছুটা হেসে সাদ উদ্দিনের জবাব, ‘এটা কি উপভোগ করার মতো কিছু বলেন। এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। হ্যাঁ আমরা অনুশীলন মাঠ নিয়ে যে পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছি সেটি কাম্য নয়। ’
‘খেলোয়াড়দের এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, আমরা এই পর্যায়ে এসে এসব নিয়ে ভাবি না। বাট টাইমিং একটা ফ্যাক্ট। তবে এসবে মনোযোগের কোনো ঘাটতি হয় না। যখন মাঠে নামি তখন কেবল অনুশীলন নিয়েই ভাবি, কোচের নির্দেশনা ফলো করি। ’ যোগ করেন তিনি।
ঘাসের মাঠে ম্যাচ হলেও সেখানে অনুশীলন করার অনুমতি মেলেনি বাংলাদেশের। তবে স্বাগতিক ভারত সেখানে অনুশীলন করে গেছে কিছু সময় আগেই। এই বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সাদ বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো না। অবশ্যই ঘাসের মাঠে অনুশীলন করলে ভালো হতো। তবে এমনটা আমাদের সঙ্গে হবে সেটি আমরা আগে থেকেই জানতাম। যে কারণে মানসিকভাবে প্রস্তুতিটা ছিল। ’
এর আগে ভারতের বিপক্ষে সল্টলেকে গোল করেছিলেন সাদ উদ্দিন। এবারও তিনি দলের সঙ্গে সেই ভারতে। আগের বার এত বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়নি। এবার আগের চাইতে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সাদ বলেন, ‘আগেরবার যখন ভারতে এসেছিলাম তখন এমনটা হয়নি আমাদের সঙ্গে। আমরা ভালো মাঠে ট্রেনিং করেছি। কিন্তু এইবার আমরা বাজে পরিস্থিতির শিকার হয়েছি। তবে আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত আছি। ’
প্রতিকূল পরিস্থিতির কথা জানালেন দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুনও। তিনি বলেন, এটা আমাদের সঙ্গে হবে তা আমরা জানতাম। যে কারণেই এ নিয়ে মানসিক প্রস্তুতিটা ছিল আগে থেকেই। মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। আমরা দলকে সেভাবেই মোটিভেট করছি। আমরা নিজেদের গেমপ্ল্যানে ফোকাস করছি। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভালো কিছু করাই আমাদের লক্ষ্য। ’
আজ অবশ্য দলের অনুশীলন করার কথা ছিল আগের দিনের অনুশীলন ভেন্যুতেই। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিকেল নাগাদ দেওয়া হয় জওহর লাল নেহেরু স্টেডিয়ামে টার্ফ-২ ভেন্যু। এ নিয়ে দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের ভাষ্য, ‘গতকাল (শুক্রবার) যেখানে অনুশীলন করেছি সেটার থেকে এই ভেন্যু ভালো, তবে এখানে কিছু সমস্যা আছে। এই টার্ফে অনুশীলন করলে ফুটবলারদের ইনজুরিতে পরার শঙ্কা রয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়:২৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৫
এআর/আরএ