কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ফিফা র্যাংকিংয়ের ১০০তম স্থানে থাকা ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হয় ১৯৪-এ থাকা বাংলাদেশ। র্যাংকিং ছাড়াও ফিলিস্তিনের খেলোয়াড়দের উচ্চতা ও শারীরিক সামর্থ্য যে ম্যাচে প্রভাব ফেলবে তা আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল।
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ থেকে সৃষ্ট বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কক্সবাজারের স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তবে মাঠে তাদের প্রত্যাশা মেটাতে পারেন নি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। মাঠের পিচ্ছিল ভাব দেখেই কি না শুরু থেকেই লম্বা পাসে খেলতে থাকে ফিলিস্তিন। গোলও পেয়ে যায় দ্রুতই।
ম্যাচের মাত্র ৮ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় ফিলিস্তিন। ডান দিক থেকে মুসাব বাতাতে বাড়ানো ক্রস থেকে বল পেয়ে দূরের পোস্ট থেকে হেড করে গোলটি করেন মোহাম্মদ বালাহ।
গোল খাওয়ার পর শোধ করার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। কিন্তু বৃষ্টিতে ভারি হয়ে যাওয়া মাঠ বল নিয়ে এগুনোই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এর মধ্যেও ২১ মিনিটে নাবীব নেওয়াজের বাড়ানো পাস ডি-বক্সে থাকা সুফিলের কাছে পৌঁছানোর আগেই আটকে দিয়ে বাংলাদেশকে গোলবঞ্চিত করেন ফিলিস্তিনের ডিফেন্ডার মুসাব।
গোল করার সুযোগ আরও কয়েকবার পেলেও তা থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল পেতে ব্যর্থ হন জীবন-তপুরা। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরমধ্যে ৬০ মিনিটের পর টানা তিনবার কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেন নি কেউই।
সুযোগ মিস করেছে ফিলিস্তিনও। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার দৃঢ় ভূমিকায় গোল করতে পারেন নি ফিলিস্তিনের খালেদ। এরপর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
শেষ দিকে দুটি কর্নার পেলেও ফিলিস্তিনের লম্বা ডিফেন্ডারদের কারণে তা থেকে হেড করে গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে দাব্বাঘের হেড থেকে ভাগ্যক্রমে বল পেয়ে জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফিলিস্তিনের ফরোয়ার্ড মারাবাহ।
এই হারে দ্বিতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু গোল্ডাকাপের ফাইনালে ওথার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। এর আগে ২০১৫ সালে ফাইনালে ওঠেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
আগামী শুক্রবার (১২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গোল্ডকাপের ফাইনালে তাজিকিস্তানের মুখোমুখি হবে ফিলিস্তিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এমএইচএম